১৩ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:২৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১১, ২০২৫
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, গত ১৫ বছরে দেশ থেকে প্রায় পাঁচ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের বড় শিল্প গ্রুপ আছে।তিনি বলেন, আমরা পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিউর, রোগের উৎপত্তি রোধ করা প্রধান দায়িত্ব। রোগ সারানো হচ্ছে পরে। চুরি হওয়ার পরে বুদ্ধি বাড়িয়ে লাভ নেই। চুরি হওয়ার আগেই ঠেকানোর ব্যবস্থা করতে হবে। ভবিষ্যতে যেন আর কোনোভাবে না হয়।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রামে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ কার্যক্রম এবং সমসাময়িক ব্যাংকিং বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন গভর্নর।তিনি বলেন, দেশের ব্যাংকিং খাতে কয়েকটি পরিবার বা গোষ্ঠী মানিলন্ডারিং করে সম্পদ চুরি করে দেশের বাইরে নিয়ে গেছে। আমরা সেই সম্পদ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর সব দেশেই আউট অব কোর্ট স্যাটেলমেন্ট বলে একটা কথা আছে। সব জিনিসে সবসময় মামলায় দীর্ঘসূত্রতায় যাওয়ার মানে হয় না। কারণ, ভালোভাবে ধরতে পারলে আপসটাও ঠিকঠাক হয়। আর সম্পদ শনাক্ত না করতে পারলে আমরা ঠকে যাব। আপসে যেতে হলে সঠিক তথ্য বের করতে হবে। তথ্যের মধ্যে গরমিল হওয়া যাবে না। যত ভালো তথ্য পাব তত ভালো করতে পারব- আপস করতে বা আদালতে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এইচ মনসুর বলেন, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার যে উদ্যোগ তা বাংলাদেশের জন্য একেবারেই নতুন। সিস্টেমেটিকেলি এ ধরনের প্রবলেম আগে ফেস করিনি, করে থাকলেও এমন প্রচেষ্টা নেওয়া হয়নি। প্রথমবার আমরা এটা করছি। সেজন্য আমাদের অনেক কিছু শিখতে হচ্ছে। এটা তো দেশের আইনে হবে না। বিদেশিদের সঙ্গে আমাকে সংযোগ স্থাপন করতে হবে। তাদের আইনের সঙ্গে সংগতি রেখে কাজ করতে হবে। প্রথম ধাপে চেষ্টা করতে হবে সম্পদগুলো চিহ্নিত করা। সেই ব্যাপারে আমরা বিভিন্ন দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলাপ করছি। আইনি সহায়তার জন্য আমরা চিঠি পাঠাচ্ছি। বিভিন্ন ল’ ফার্মের সঙ্গে কথা বলছি, তাদের হয়তো খুব শিগগিরই হায়ার করব।
গভর্নর জানান, চট্টগ্রামের কয়েকটি বড় গ্রুপ ব্যাংকিং খাত থেকে অন্তত সোয়া লাখ কোটি থেকে দেড় লাখ কোটি টাকা নিয়েছে। আরও কিছু গ্রুপ আছে যারা ২০, ৪০, ৫০ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে। আমার ধারণা ছোটগুলে বাদেই বড় গ্রুপগুলোর আড়াই থেকে তিন লাখ কোটি টাকা হতে পারে। সেগুলোও আদায় করতে হবে অর্থঋণ আদালতসহ অন্য আইনি প্রক্রিয়ায়।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D