নববর্ষ বরণে ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ বন্ধে স্মারকলিপি

প্রকাশিত: ৫:১৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১০, ২০২৫

নববর্ষ বরণে ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ বন্ধে স্মারকলিপি

নববর্ষ বরণের নামে ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ বন্ধের দাবিতে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও সিলেটের পুলিশ কমিশনার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ প্রতিরোধ সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদ সিলেটের নেতৃবৃন্দ।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকালে পৃথক পৃথকভাবে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) পদ্মাসন সিংহ এবং পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম রেজা পিপিএম এর হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ প্রতিরোধ সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদ সিলেটের সভাপতি মুফতী ফয়জুল হক জালালাবাদী ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আছলাম রাহমানী।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ সভাপতি হাফিজ মাওলানা নওফল আহমদ, মাওলানা বদরুল ইসলাম, হাফিজ মাওলানা মামুনুর রশীদ, কবির আহমদ, মাওলানা পীর বশির আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচ এম কিউ মইনুল ইসলাম আশরাফী, ক্বারী মাওলানা নুরুজ্জামান নুমানী, সহ সম্পাদক মাওলানা ইলিয়াস, সহ প্রচার সম্পাদক মাওলানা আব্দুল করিম, মাওলানা কাওসার আহমদ, মাওলানা আনিসুর রহমান।

এছাড়াও স্মারকলিপি প্রদানকালে সিলেটের অর্ধশতাধিক উলামা-মাশায়েখ, খতীব, ইমাম, মুয়াজ্জিন, শিক্ষকসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়- মানুষ নিত্য নৈমিত্তিক জীবনাচার সম্পাদনের জন্য সন তারিখ গণনার রেওয়াজ আদিকাল থেকে চলে আসছে। মুসলমান কৃষকেরা গোলা ভরে ধান উঠিয়ে, জমিদারী খাজনা পরিশোধ করে, মৌসুম অনুযায়ী নতুন ধানের চিড়া, মুড়ি ও পিঠা তৈরি করে পাড়া প্রতিবেশিদের মধ্য বিতরণসহ দোয়া-দুরূদ ও শিরনী-সালাত ইত্যকার অনুষ্ঠানাদী পালনের মধ্য দিয়ে আল্লাহ তায়লার শুকরিয়া আদায় করতেন।

ব্যবসায়ীরা বিগত সনের বকেয়া আদায় করে, দেনাদারের মধ্যে মিষ্টি মিঠাই বিতরণ করে নববর্ষের আনন্দ উপভোগ করতেন। কিন্তু বর্তমানে সময়ে জমিদারী প্রথাও নেই, নেই খাজনা আদায়ের সেই রেওয়াজও। এখন সরকারী কোষাগরে খাজনা পরিশোধ করতে হয়। আমাদের মাঝে এখন বাংলা নববর্ষ আসে ঠিকই, কিন্তু ব্যবসায়ীদের হালখাতা নবায়ন আর কৃষকদের নবান্ন উৎসব হয় না বললেই চলে। কারণ এসব তলিয়ে গেছে অপসংস্কৃতি আর আনন্দ উৎসবের নামে যতসব বেফাস উম্মাদনা ও বেলেল্লাপনায় আমাদের প্রতিবেশী কোন কোন সমাজে মঙ্গল শুভাযাত্রা, নাচ, গান, মোমবাতি প্রজ্জলন ইত্যাদির মাধ্যমে দেব-দেবীর কাছে মঙ্গল কামনা, নারী পুরুষের সম্মিলিত নৃত্য উম্মাদনা, মদ্যপান করে নেশায় মত্ত হয়ে রং ছিটাছিটি ইত্যাদি আভিজাত্য এবং সংস্কৃতি হলেও মুসলমানদের জন্য তা সম্পূর্ণ হারাম বা অবৈধ এবং ক্ষেত্রবিশেষ ‘শিরক’ এর মত অমার্জনীয় পাপাচার বলে বিবেচিত। শুধু তাই নয়, রুচিবোধ সম্পন্ন সকল মানুষের কাছেই তা অনৈতিক ও গহীত কাজ, যা সংস্কৃতির সংজ্ঞায় পড়েনা। উপরন্ত এ সবের সাথে বাংলা কেন, কোন নববর্ষ উদ্যাপনের নূন্যতম সম্পর্কে নেই । অথচ আমরা দুঃখের সাথে লক্ষ্য করছি যে সাম্প্রতিক সময়ে ইংরেজি ও বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনকে ঘিরে বিজাতীয় তথা ব্রাহ্মণ্যবাদী ও পশ্চিমাদের অনুকরণের অনেক, মুসলমানও নানাবিধ বেফাঁস উম্মাদনা ও বেলেল্লাপানায় মেতে উঠেন। আমরা মনে করি আল্লাহর জমিনে এসব কু-কর্ম ভায়াবহ আযাব ও গযবের কারণ হতে পারে শুধু তাই নয়, এসব অপসংস্কৃতি আমাদের সামাজে বেলেল্লাপনা, অনৈতিকতা অসংখ্য অপকর্মের বিস্তার ঘটিয়ে সামাজিক ভাইরাস ছড়াচ্ছে, যা থেকে আমাদের মুসলমান সমাজকে রক্ষা করা সকল সচেতন রুচিবোধ সম্পন্ন মানুষেরই নৈতিক ও ঈমানী দায়িত্ব।

স্মারকলিপি প্রদানকালে নেতৃবৃন্দ, দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছে আহবান বর্ষ বরণকে ঘিরে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলন, রাস্তাঘাটে নারী পুরুষের অবাধ বিচরণ ও অশ্লীল ভাব-ভঙ্গিমা প্রদর্শন, মদ্যপ ও নেশাগ্রস্থ রাস্তায় সম্মিলিত নৃত্য ও বেফাঁস উম্মাদনাসহ বৈশাখী মেলার নামে জুয়া-যাত্রা, হাউজি বন্ধ করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান। বিজ্ঞপ্তি


 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট