৭ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:২৪ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৬, ২০২৫
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় বিয়ের দেড় মাসের মাথায় স্বামীর বড় ভাইয়ের ঘর থেকে লিজা আক্তার চাঁদনী নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৫ এপ্রিল) বিকালে গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি ইউনিয়নের বগাইয়া মুসলিম পাড়া গ্রামে স্বামীর বাড়ি থেকে ওই নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
লিজা আক্তার চাঁদনী (২১) উপজেলার বিছনাকান্দি ইউনিয়নের বগাইয়া মুসলিম পাড়া গ্রামের আলম মিয়ার মেয়ে।
জানা যায়, দুপুর আড়াইটায় পাশের বাড়ির জুসনা আক্তার হবিব মিয়ার ঘরে তীরের সাথে ওড়না পেচিয়ে ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার করে। জুসনার চিৎকার শুনে বাড়ির অন্যন্য সদস্যরা দৌড়ে এসে লিজার ঝুলন্ত দেহ নামিয়ে বাচানোর চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ এসে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
স্থানীয়রা জানায়, গত রমজান মাসের প্রায় ১৫ দিন আগে উভয় পরিবারের সম্মতিতে একই গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সোহেল মিয়াকে বিয়ে করেন লিজা আক্তার চাঁদনী। বিয়ের পরে চাঁদনী কিছু দিন স্বামীর বাড়ি ও বাকি দিন বাবার বাড়িতেই ছিলেন। চাঁদনী ঈদের পরের দিন বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে আসেন। বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে আসার ৬ দিনের মাথায় চাঁদনীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে সোহেলের ভাই হবিব মিয়া বাড়িতে না থাকায় সোহেল মিয়া চাঁদনীকে নিয়ে ভাইয়ের ঘরে থাকত। শনিবার দুপুরে চাঁদনী স্বামী সোহেল কে আপেল ও আঙ্গুর আনার জন্য বাজারে পাঠায়।সোহেল বাজারে থাকাকালীন সময়ে সোহেলের বড় ভাইয়ের বসতঘরের একটি রুমের তীরের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস লাগানো চাঁদনী কে দেখতে পায় পাশের বাড়ির জুসনা আক্তার। পরে জুসনার চিৎকার করলে বাড়ির অন্যান্য লোকজন দৌড়ে আসে। লিজা আক্তার চাঁদনী মানসিক সমস্যায় ভুগছিল ছিল বলে অনেকে জানিয়েছেন।
গোয়াইনঘাট থানার এসআই জয়ন্ত কুমার তালুকদার বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক অভিমানের কারণে সে আত্মহত্যা করেছে। তবে এ ঘটনায় তার পিতা আলম মিয়া মামলা করতে কিছুটা অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন।
গোয়াইনঘাট থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মাহমুদ হাসান বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D