রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় হারিছ চৌধুরীর দেহাবশেষ কানাইঘাটে দা’ফ’ন

প্রকাশিত: ৭:০২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় হারিছ চৌধুরীর দেহাবশেষ কানাইঘাটে দা’ফ’ন

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব মুক্তিযোদ্ধা হারিছ চৌধুরীর দেহাবশেষ ফের দাফন করা হয়েছে।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বাদ আসর সিলেটে গ্রামের বাড়ি কানাইঘাটের দর্পনগরে নিজ গ্রামে বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত শফিকুল হক চৌধুরী মেমোরিয়াল এতিমখানার আঙিনায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়।

এর আগে সকালে ঢাকা থেকে সড়ক পথে হারিছ চৌধুরীর দেহাবশেষবাহী অ্যাম্বুলেন্স সিলেটে পৌছে। দেহাবশেষ রাখা হয় সিলেট সাকির্ট হাউসের সামনে। বেলা ২টার দিকে নিয়ে যাওয়া হয় নগরীর শাহী ঈদগাহ ময়দানে। সেখানে দোয়া পরিচালনা করেন দরগাহ মসজিদের ইমাম।

দোয়ার আগে মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিমের পরিচালনায় সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিন চৌধুরী। বাবার জন্য দোয়া চেয়ে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সরকারের আমলে মরদেহ সিলেট আনা সম্ভব হয়নি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং ডিএনএ পরীক্ষার পর সরকারের নির্দেশনা পেয়ে মরদেহ সিলেটে নিয়ে আসা হয়েছে।’

শাহী ঈদগাহ মাঠে দোয়া অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, নগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান লোদী কয়েস, সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।

মোনাজাত পরিচালনা করেন শাহজালাল দরগাহ মসজিদের খতিব ও ইমাম হাফিজ মাওলানা হুজায়ফা হোসাইন। শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন শাহী ঈদগাহ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল মুমিন।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর হারিছ চৌধুরী মারা যাওয়ার পর হারিছ চৌধুরী পরিচয় গোপন করে মরদেহ দাফন করা হয়। অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান নামে হারিছ চৌধুরীকে ঢাকার সাভারের বিরুলিয়ায় জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যিন মাদরাসা প্রাঙ্গণে দাফন করা হয়। পরে তাঁর মেয়ে সামিরার উচ্চ আদালতে রিট করেন। রিটের প্রেক্ষিতে মরদেহ উত্তোলন করে ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। ডিএনএ পরীক্ষায় হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর সরকারের নির্দেশনায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশনার আলোকে রোববার সিলেটের গ্রামের বাড়িতে মরদেহ দাফন করা হয়।

প্রয়াত হারিছ চৌধুরী বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক, সিলেট জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতিসহ বিএনপির গুরুতপূর্ণ পদে দায়িত্বে পালন করেছেন।


 

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট