১৪ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:০৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০২৪
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের বাগময়না-তাজপুর, রসুলপুর গ্রামের মসজিদ কমিটিকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করার জেরে অতর্কিত হামলায় একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।
নিহতের নাম সুজাত উল্লা (৮০)। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আহতদের কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) হযরত শাহজালাল জামে মসজিদ ও মরহুম হাজী মো. খুশি মিয়া হিফজ শাখার পরিচালনা কমিটিকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করাকে কেন্দ্র করে বাগময়না, তাজপুর গ্রামের মোল্লা আব্দুল আজিরের নেতৃত্বে আব্দুল কাছ, রশিদ উল্লা, মজিদ মিয়া সহ প্রায় ৩ শতাধিক লোক জড়ো হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অপর পক্ষের সুজাত উল্লাহের লোকজনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
আত্মরক্ষার্থে প্রতিরোধ গড়ে তুললে প্রায় এক ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে আমান উল্লাহের ছেলে সুজাত উল্লা (৮০), সুজাত উল্লাহর ছেলে সেফুল মিয়া (৪০), রেকুল মিয়া, সেকুল মিয়া, সেজল মিয়া, জাবেদ মিয়া, আব্দুল আমিন, মমিন মিয়া, তছর মিয়া, টুনু মিয়া, মামুন মিয়া, শামিম মিয়া, ইমন মিয়া, রিনা বেগম, আব্দুল মহিম, কাজল মিয়া, নোয়াগাঁও নোয়াপাড়া গ্রামের আহাদ মিয়ার ছেলে শাহেদ মিয়া সহ প্রায় ২০ জন আহত হন। এদিকে, মোল্লা আব্দুল আজিরের পক্ষের মজিদ মিয়ার ছেলে আনোয়ার মিয়া আহত হয়েছেন।
পরে গুরুতর আহত সুজাত উল্লাহকে জগন্নাথপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার দায়িত্বরত ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সংঘর্ষ থামাতে শালিসি ব্যক্তি হাফিজ উদ্দিন, ফারুক মিয়া, হাফিজ শামিম মিয়া, জামান উল্লাহ মুক্তার, আব্দুল নুর মিয়া, খালেদ মিয়া সহ আরো অনেকেই আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানার এসআই সজিব মিয়া নেতৃত্বে প্রায় ২০জন পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সংর্ঘষ নিয়ন্ত্রনে আনেন।
এ ব্যাপারে গুরুতর আহত সেকুল মিয়া বলেন, ‘মসজিদ কমিটি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করার জেরে মোল্লা আব্দুল আজিরের নেতৃত্বে আব্দুল কাছ, রশিদ উল্লা, মজিদ মিয়া সহ একদল সন্ত্রাসী আমাদের উপর হামলা চালায়। এ হামলায় আমার বাবা নিহত হয়েছেন। আমার বড় ভাই সেফুল মিয়া, আমি সহ আমরা সকল ভাই গুরুতর আহত হয়েছি। আমার ভাইদের অবস্থা আশঙ্কাজনক, আমাদের সিলেট নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান আখন্দ বলেন, ‘মসজিদ কমিটিকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টের জেরে দুই পক্ষের সংর্ঘষে একজন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিকে পোস্টমর্টেমের জন্য সুনামগঞ্জ হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। তবে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D