কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধসহ তিন দাবিতে বেলা’র স্মারকলিপি

প্রকাশিত: ১০:৫৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৩, ২০২৪

কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধসহ তিন দাবিতে বেলা’র স্মারকলিপি

বাণিজ্যিক স্বার্থে আদালতের নির্দেশে পরিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন ঘোষিত পিয়াইন, ডাউকী ও ধলাই নদী এবং সিলেটের অন্যান্য স্থানে পাথর উত্তোলনের অনুমতি প্রদানে সরকারের উপর অনৈতিক চাপ সৃষ্টি করছেন। আদালতের নির্দেশে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় পাথর উত্তোলন বন্ধ হলে তার বিরুদ্ধে শ্রমিকদের উষ্কে দিচ্ছেন। প্রকাশ্যে গণসমাবেশ করছেন। উচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে এসব কার্যক্রম আদালতকে অবমাননার শামিল।

প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় অযান্ত্রিক পদ্ধতিতেও খনিজ সম্পদ আহরণ আইনত অনুমোদিত নয়। এ অবস্থায় সরকার পিয়াইন, ডাউকী, রাংপানি, ধলাই নদী এবং বিছানাকান্দি, উৎমাছড়া, লোভাছড়া, শ্রীপুর ও ভোলাগঞ্জে পর্যটন শিল্পের বিকাশে একটি রুপরেখা ও মাস্টার প্লান প্রণয়ন করতে পারেন। উল্লিখিত জায়গাগুলো থেকে পাথর কোয়ারিসমূহকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে প্রাকৃতিক সম্পদ এবং সৌন্দর্য যেমন রক্ষা করতে পারেন তেমনি পরিবেশ বিধ্বংসী পাথর উত্তোলন থেকে এলাকাগুলোকে রক্ষা করতে পারেন।

অন্যদিকে, পাথর উত্তোলনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে পাথর ভাঙ্গার মেশিন পরিচালনার ব্যবসা। কোনো ধরণের নিয়ম নীতি না মেনে চলছে পাথর ভাঙ্গার মেশিন। দিন দিন এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমাজের একটা শ্রেণি লাভবান হলেও জনস্বাস্থ্য এবং আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বিরাট নেতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

জানা গেছে, সিলেটের সদর, দক্ষিণ সুরমা, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও বিয়ানীবাজার উপজেলায় সহস্রাধিক স্টোন ক্রাশার মেশিন আছে। নদীর তীর, সড়ক সংলগ্ন, কৃষিজমিতে এমনকি- ওসমানী আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরের সীমানা প্রাচীরসহ সংলগ্ন স্থানে চলছে অবৈধ এসব পাথর ভাঙ্গার কল। উচ্চ আদালতের রায় অমান্য করে চলছে এসব মেশিন।

স্মারকলিপির মাধ্যমে জানানো হয়- সিলেটের কোয়ারিগুলো থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ, জাফলংয়ে ইসিএ নির্দেশনা বাস্তবায়ন ও পাথর ভাঙার মেশিন নিয়ন্ত্রণে একটি কমিটি বা জোট গঠন করা হয়েছে। এর নেতৃবৃন্দ হলেন- বেলা সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শাহ সাহেদা আখতার, সুজন সিলেট জেলার সভাপতি ফারুক মাহমুদ মাহমুদ চৌধুরী, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট ইরফানুজ্জামান চৌধুরী, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. মিসবাহ উদ্দিন, অধ্যাপক ড. জহির বিন আলম, অধ্যাপক ড. সফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, ইন্সটিটিউট অব ডেভেলাপমেন্ট অ্যাফেয়ার্স (আইডিয়া)-এর নির্বাহী পরিচালক নজমুল হক, জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সিলেট বিভাগীয় প্রধান অ্যাডভোকেট সৈয়দা শিরীন আক্তার, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম, একডো-এর নির্বাহী পরিচালক লক্ষ্মীকান্ত সিংহ, এফআইভিডিবি-এর নির্বাহী পরিচালক শিরিন আক্তার, টিআইবি সিলেটের এরিয়া কো-অর্ডিনেটর সাজিদুর রহমান, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সৈয়দ মনির হেলাল, ইউনিট কো-অর্ডিনেটর অ্যাডভোকেট সত্যজিত কুমার দাস, জৈন্তা ছিন্নমূল সংস্থা (জেসিস)-এর নির্বাহী পরিচালক এটিএম বদরুল ইসলাম এবং পাত্র সম্প্রদায় কল্যাণ পরিষদ (পাসকপ)-এর নির্বাহী পরিচালক গৌরাঙ্গ পাত্র।

স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহ সাহেদা আখতার, অ্যাডভোকেট ইরফানুজ্জামান চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সৈয়দা শিরীন আক্তার, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মনির হেলাল, অ্যাডভোকেট সত্যজিত কুমার দাস ও বেলা’র ফিল্ড অফিসার শাফায়াত উল্লাহ।


 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট