৯ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:১০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৮, ২০২৫
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার অন্যতম লাল শাপলা বিল এখন প্রকৃতিগত ভাবে কচুরিপানার বিলে পরিবর্তন হচ্ছে। অচিরেই কচুরিপানা বিলে পরিচিতি লাভ করবে লালশাপলা বিলটি। প্রকৃতিপ্রেমীদের প্রশ্ন লালশাপলার সুরক্ষার জন্য প্রশাসনের গঠিত সুরক্ষা কমিটি কি ভূমিকা পালন করছে?
সরেজমিন ঘুরে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে আলাপকালে জানা যায়, জৈন্তাপুর উপজেলায় ডিবিরহাওরে (ইয়াম-হরফকাটা-ডিবি-কেন্দ্রী) এই ৪টি বিল ৯শত একর জায়গা জুড়ে প্রকৃতিগত ভাবে সৃষ্ট লাল শাপলা বিল। বিগত ২০১৬ সনে প্রথমে সংবাদ পত্রের কল্যানে সারাদেশ সহ বিশ্ববাসীর সম্মুখে অন্যতম পর্যটন এলাকা হিসাবে পরিচিতি লাভ করে বিলগুলো। দেশি-বিদেশী পর্যটক বিলে ঘুরে যান এবং বিলের সৌন্দর্য্য নিয়ে প্রসংশা করেন। লালশাপলা বিলের ১টি (ইয়ামবিলে) বিলে চলতি বৎসরে অর্ধেকের বেশি এলাকা জুড়ে প্রকৃতিগত ভাবে শাপলার পরিবর্তে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে কচুরিপানা। কচুরিপানার ফলে দ্রুত বিলিন হচ্ছে লাল শাপলা। এভাবে কচুরিপানা বৃদ্ধি হতে থাকলে আগামী বৎসর পুরো বিল জুড়ে লাল শাপলার পরিবর্তন ঘটে কচুরিপানার বিলে পরিবর্তন হবে। পর্যটকরা লাল লাপলার পরিবর্তে বিল জুড়ে কচুরিপানা দেখতে আসবে। ফলে বিলিন হবে জৈন্তাপুরের অন্যতম পর্যটন আর্কষণ খ্যাত লাল শাপলা বিল।
সাধারণ মানুষের ধারনা লাল শাপলা সুরক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের কর্তৃক গঠিত লাল শাপলা সুরক্ষা কমিটির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, লাল শাপলা বিলের সুরক্ষার জন্য গঠিত হয় সুরক্ষা কমিটি। মুলত লাল শাপলা ধ্বংস কিংবা নানা প্রকার জলজ উদ্ভিদ হতে বিলের শাপলা সুরক্ষায় সমস্যা চিহ্নিত করে প্রশাসনের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠ সমাধান ও পরিচর্যা করা। বিলে পর্যটকদের বহনকারী নৌকা হতে ১শত টাকা হারে আদায় করে বিলের বাঁধ সুরক্ষা, শাপলা ধ্বংসকারী জলজ উদ্ভিদ হতে রক্ষার জন্য পরিচর্যায় ব্যয় সংকুলান করা।
চলতি বৎসরে লাল শাপলা বিলের ইয়ামবিলটিতে যে হারে লাল শাপলার চরম শত্রু কচুরিপানা নামক উদ্ভিদ গ্রাস করছে তাতে আগামী বৎসরে পুরো বিল গুলোতে ছড়িয়ে পড়বে কচুরিপানা। বর্তমানে ইয়ামবিলের প্রায় অর্ধেক অংশ কচুরিপানা পরিপূর্ন হয়ে পড়েছে। লাল শাপলার পরিবর্তে এখন কচুরিপানা ফুল ফুঠেছে। কচুরিপানার কারনে লাল শাপলা ধ্বংস হয়ে পড়েছে। যার কারনে লাল লাপলার সৌন্দর্য্য বিনষ্ট হচ্ছে। তাই দ্রুত পরিবেশ সমীক্ষা করে লাল শাপলা ধব্বংসের হাত হতে রক্ষার দাবী জানান।
এ বিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জর্জমিত্র চাকমা বলেন, লাল শাপলা বিলে জলজ উদ্ভিদ কচুরিপানা শাপলা ধ্বংস হচ্ছে বিষয়টি ইতোপূর্বে কেউ আমাকে অবহিত করেনি। উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে লাল শাপলা সুরক্ষায় কচুরিপানা সরানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D