সিলেট কারাগারে কবুল বললেন প্রেমিক-প্রেমিকা

প্রকাশিত: ৬:৫৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১১, ২০২৫

সিলেট কারাগারে কবুল বললেন প্রেমিক-প্রেমিকা

প্রথমে প্রেম, তারপর ঘনিষ্ঠতা। একপর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন প্রেমিকা। তখন বিয়ের জন্য চাপ দিলে প্রেমিক রাজি না হয়ে পালিয়ে যান। অবশেষে তাদের বিয়ে হলো কারাগারে। বরের নাম শিমুল, আর কনে মিতা।

তাদের বিয়ে পড়ান কাজি সজিব আহমেদ তালুকদার। তিনি জানান, শিমুলের সাথে মিতার দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিলো। একপর্যায়ে ওই তরুণী ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে সে শিমুলকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। কিন্তু শিমুল বিয়ে না করে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় মিতা বাদি হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এই মামলায় শিমুল কারাগারে বন্দি আছেন।

কারা সূত্রে জানা গেছে, প্রেম ও ঘনিষ্টতার একপর্যায়ে প্রেমিকা সুনামগঞ্জের দিরাই থানার জাহের উদ্দিনের কণ্যা হিজবুন্নাহার আক্তার মিতা (২২) অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। তখন বিয়ের জন্য চাপ দিলে প্রেমিক সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার কালাশহর গ্রামের আব্দুল করিমের পুত্র শিমুল আহমেদ (২৭) রাজী না হয়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় প্রেমিকা মিতা বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা দায়ের করলে সেই মামলায় গ্রেফতার হয়ে শিমুল বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। সম্প্রতি শিমুল জামিনের জন্য আবেদন করলে উচ্চ আদালত তাদের দুই জনের বিয়ের নির্দেশ দেন। পরবতীতে উচ্চ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক উভয়পক্ষের সম্মতিতে ও অভিভাবকদের উপস্থিতিতে কারাগারে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়।

এ ব্যাপারে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডের নির্ধারিত কাজী সজীব আহমেদ তালুকদার জানান, সম্প্রতি শিমুল জামিনের আবেদন করলে উচ্চ আদালত তাদের দুই জনের বিয়ের নির্দেশ দেন। পরে উভয়পক্ষের সম্মতিতে এবং তাদের অভিভাকগণের উপস্থিতিতে গত বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের মোহরানা ছিলো ৫ লাখ টাকা।

এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন কারাগারের জেলার আরিফুর রহমান বলেন, মহামান্য উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের বিয়ে হয়েছে। এসময় কারাগারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বর-কনের আত্মীয়-স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।


 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট