সিলেটে বিএনপি নেতা মিফতাহ সিদ্দিকীর উদ্যোগে শিক্ষা উপকরণ ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

প্রকাশিত: ৫:০২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০২৫

সিলেটে বিএনপি নেতা মিফতাহ সিদ্দিকীর উদ্যোগে শিক্ষা উপকরণ ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সিলেটে শিক্ষা উপকরণ ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে সিলেট শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকীর উদ্যোগে এসব বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে শতাধিক শিক্ষার্থীর মধ্যে শিক্ষা উপকরণ ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।


সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি সালেহ আহমদ খসরুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, জিয়াউর রহমান স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়েছেন। তিনি সার্ক গঠন করেছেন।

তিনি বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অতীতে ছিল, এখনও আছে। তা মোকাবিলা করতে হবে। আজকের এই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য মিফতাহ সিদ্দিকীকে ধন্যবাদ। এই ধরনের আরও অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য আহ্বান জানাই।

অনুষ্ঠানের আয়োজক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী বলেন, জিয়াউর রহমান উপমহাদেশে ক্ষণজন্মা পুরুষ। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক। ১৯৭১ সালে যখন রাজনৈতিক নেতৃত্ব স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে ব্যর্থ হয়েছিল, তখন জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তাঁর আহ্বানে জনগণ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আমার লক্ষ্য, জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন ও চেতনা বাস্তবায়ন করা। জিয়াউর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়ন করতে পারলে বাংলাদেশ সমৃদ্ধ ও উন্নত হবে। ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এই বাংলাদেশ তারেক রহমানের নেতৃত্বে সঠিক পথে এগিয়ে যাবে।
তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে সবার কাছে দোয়া চান।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-ক্ষুদ্র ও ঋণবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জিয়াউর রহমান যে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, তা শেখ মুজিবুর রহমানও স্বীকার করেছেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ড. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, মিফতাহ সিদ্দিকী একটি সময়োপযোগী আয়োজন করেছেন। তাকে ধন্যবাদ জানাই।
জিয়াউর রহমান সফল সৈনিক ছিলেন। ১৯৭১ সালে শেখ মুজিবুর রহমান নিরাপদে দেশ ছাড়েন। তখন জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। এই ইতিহাস মুছে ফেলার অনেক চেষ্টা করেছে আওয়ামী লীগ। তবে তা মুছে ফেলা সম্ভব নয়। জিয়াউর রহমান সফল রাষ্ট্রনায়কও ছিলেন।

বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম বলেন, জিয়ার সৈনিকদের প্রয়োজনে ট্রেনিং দিয়ে শত্রুকে মোকাবিলা করতে প্রস্তুতি নিতে হবে। জীবন দিয়ে হলেও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা হবে।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর সাজেদুল করিম বলেন, জিয়াউর রহমান অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং নেতৃত্ব দেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি আবার ব্যারাকে ফিরে যান। ১৯৭৫ সালে দেশে দুর্যোগের সময় দেশের দায়িত্ব নেন। তখন সারাদেশের জনগণ উল্লসিত হয়। জিয়াউর রহমান অল্প সময়ের মধ্যে দেশকে স্বনির্ভর করেন। তিনি জাতীয়তাবাদী দল গঠন করেছেন, যা দেশের জন্য আশীর্বাদ। বিএনপি যতদিন জিয়াউর রহমানের আদর্শের পথে থাকবে, ততদিন এই দেশ সঠিক পথে থাকবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন ৩৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক গাজী মুহিব উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমেদ চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক ইশতিয়াক সিদ্দিকী, মহানগর বিএনপির সম্মানিত সদস্য বদরুদ্দোজা বদর, সহ-সভাপতি সুদীপ রঞ্জন সেন বাপ্পু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল আহাদ খান জামাল, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি নিগার সুলতানা ডেইজি, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ফাহিমা কুমকুম, ৬ নং ওয়ার্ডের লুৎফুর রহমান। অনুষ্ঠানে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


অনুষ্ঠানে ৫শত ৩০ জন শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে অতিথিবৃন্দকে নিয়ে শিক্ষা উপকরণ সামগ্রী ও প্রায় দেড় হাজার মানুষের মধ্যে খাবার পৌঁছে দেন মিফতাহ সিদ্দিকী। –বিজ্ঞপ্তি



এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট