দেশে ৫ দিন পর ইন্টারনেট চালু

প্রকাশিত: ৫:৩৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৪, ২০২৪

দেশে ৫ দিন পর ইন্টারনেট চালু

পাঁচ দিনের অপেক্ষার পর অবশেষে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাত সাড়ে আটটার দিকে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাচ্ছে।তবে ইন্টারনেট চালু হলেও স্লো কাজ করছে।

তবে বাসা বাড়িতে ইন্টারনেট চালু হয় বুধবার (২৪ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে।

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই সব স্থানের মানুষ।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকার মো. বাইজিদ হাসান জানান, এই মুহূর্তে তাদের বাসার ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাচ্ছে। তবে ফেসবুক এবং ইউটিউবে প্রবেশ করা যাচ্ছে না।

তবে মেসেঞ্জার ব্যবহার করা যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

এর আগে মঙ্গলবার ইন্টারনেট সেবার বিষয়ে সুখবর দেন ডাকা, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি জানান, আজ রাতেই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হবে। অগ্রাধিকারভিত্তিতে বাছাইকৃত এলাকায় চালু করা হবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনের পর রাত থেকে বন্ধ হয়ে যায় ইন্টারনেট সেবা।

গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) রাজধানীর মহাখালীতে দুর্যোগ ভবনে আগুন দেওয়া হয়। এ ভবনের পাশেই থাকা তিনটি ভবনে আইআইজি প্রতিষ্ঠানগুলোর ডেটা সেন্টারসহ ইন্টারনেট সরবরাহকারী কিছু প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়। আগুনে এসব ভবনের বাহিরে থাকা কিছু কেবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া আগুন যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তাই ডেটা সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত কেবল কেটে ফেলা হয়।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, এ জায়গা থেকে সারা দেশের প্রায় ৩০ শতাংশ ইন্টারনেট সরবরাহ করা হয়। ফলে এখানে ডেটা সেন্টার বন্ধ থাকলে সারা দেশের ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকবে না।

এদিকে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি ইমদাদুল হক শনিবার (২০ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, মহাখালীতে ডেটা সেন্টারে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে কেবল ও বিভিন্ন সঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারা সেবাগুলো আবার চালু করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি রাসেল টি আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় প্রতিদিন আইসিটি সেবা খাতে ক্ষতির পরিমাণ ৭০ থেকে ৮০ কোটি টাকা। বিদেশ থেকে যেসব ফরমাশ আসে, সেখানে যোগাযোগে সমস্যা হচ্ছে। গ্রাহকেরা আস্থা হারাচ্ছেন। বাংলাদেশের বাজারের প্রতিও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এত দীর্ঘ সময় ইন্টারনেট সেবা না পাওয়ায় আইসিটি খাতে সুদূরপ্রসারী ধাক্কা আসবে।


 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট