সিলেটে হারিকেন নিয়ে বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও বিএনপির

প্রকাশিত: ১০:৫৯ অপরাহ্ণ, জুন ৮, ২০২৩

সিলেটে হারিকেন নিয়ে বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও বিএনপির

সিলেটে রাস্তায় অবস্থান করে হারিকেন হাতে নিয়ে লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতির প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুরে সিলেট নগরীর বাগবাড়ির নবাব রোডের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে দলটি।

অবস্থানকালে নবাব রোড ও ওসমানী মেডিকেল এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। এসময় বিএনপি নেতাকর্মীরা রাস্তায় হারিকেন হাতে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন।

কর্মসূচি শেষে স্মারকলিপি নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল প্রধান প্রকৌশলীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। তিনি বলেন, দুর্নীতির জন্য সরকার বিদ্যুৎ খাতকে বেছে নিয়েছে। দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে বিদ্যুতের অবস্থা ভয়াবহ। ক্যাপাসিটি চার্জের নামে সরকার এ পর্যন্ত এক লাখ কোটি টাকার উপরে লুট করেছে। তিনি বলেন, আগামী অর্থবছরে বিদ্যুৎ বিভাগের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩৩ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি।

জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর পরিচালনায় কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন- মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক, কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী প্রমুখ।

এদিকে বিএনপির কর্মসূচিকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন বিদ্যুৎ অফিস, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সাবস্টেশন কেন্দ্রগুলোতে সতর্কতা অবলম্বন করে বিদ্যুৎ বিভাগ। বুধবার রাতে পুলিশের সহায়তার জন্য চিঠিও দেয় বিদ্যুৎ বিভাগ। সেই অনুযায়ী, এদিন বিভিন্ন অফিস ও কেন্দ্রে অবস্থানসহ টহল জোরদার করে পুলিশ।

এ বিষয়ে সিলেট বিদ্যুৎ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর কাদের জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও অফিসে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সুদীপ দাস সমকালকে জানিয়েছেন, বিএনপির কর্মসূচিকে সামনে রেখে পুলিশ তৎপর ছিল। বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সাবস্টেশন ও অফিসে নজরদারি করা হয়েছে।


 

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট