আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২৭৪ রানেই থামলো বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ৭:৪৬ অপরাহ্ণ, মে ১৪, ২০২৩

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২৭৪ রানেই থামলো বাংলাদেশ

বড় ইনিংস খেলতে না পারাই ফের কাল হলো বাংলাদেশের। ভালো শুরু পেয়েও তাল ধরে রাখতে পারেনি কেউ। পাঁচজন ব্যাটার ৩০-র ঘর পেরোলেও পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস ছিল কেবল একটা! ফলে পুরো ৫০ ওভারও খেলে আসতে পারলো না টাইগাররা, থেমেছে ৪৮.৫ ওভারে, ২৭৪ রানে। যেখানে শেষ ১৩ রানেই হারিয়েছে ৫ উইকেট! সর্বোচ্চ ৬৯ রান আসে অধিনায়কের ব্যাট থেকে।

ইনিংসের শুরুতেই জীবন পেয়েছিলেন, সুযোগটা কাজেও লাগিয়েছেন তামিম ইকবাল খান। যদিও বহুল কাঙ্ক্ষিত শতক দেখা দেয়নি, তবে ১০ ইনিংস পর অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন তামিম ইকবাল খান। ৮২ বলে ৬৯ রান করে থামতে হয়েছে বাংলাদেশ অধিনায়ককে। ফিরেছেন দলীয় ৩৩.৩ ওভারে ১৮৬ রানে।

এর আগে যথারীতি আজও বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমেছিলেন তামিম। তবে এইদিন পরিবর্তন হয় সঙ্গী, অভিষিক্ত রনি তালুকদার ছিলেন সাথে। কিন্তু অভিষেকটা রাঙাতে পারেননি রনি, ফেরেন চতুর্থ ওভারেই ১৪ বলে ৪ রান করে। ১৮ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি।

এদিকে আগের ম্যাচে যেখানে শেষ করেছিলেন, আজ সেখান থেকেই যেন শুরু করে ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দারুণ ছন্দেই একের পর এক শট খেলতে থাকেন। তবে ইনিংসটা এইদিন আর টেনে নিতে পারেননি, তামিমকে রেখেই ৩২ বলে ৩৫ রান করে থামতে হয়েছে তাকে।

এরপর লিটন দাসের সাথে ৭০ রানের জুটি গড়েন তামিম। তাদের ব্যাটে লড়াই করছিল বাংলাদেশ, ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছিলো বড় সংগ্রহের পথে। পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটিও গড়ে তুলেছিলেন তারা। তবে আবারো আশাহত করে সাজঘরের পথে যাত্রা লিটনের। আরো একবার বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ তিনি। ৩৯ বলে ৩৫ করে আউট হন লিটন।

দারুণ ছন্দে থাকা তাওহীদ হৃদয় এইদিন আর হৃদয় জিততে পারেননি, ১৬ বলে ১৩ করেই থামেন তিনি। বন্ধু মুশফিকের সাথেও এইদিন বোঝাপড়াটা জমে উঠেনি। জমে উঠার আগে মুশফিককে ফেলে সাজঘরের পথ ধরেন তামিম। ১৮৬ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর এবার মিরাজকে সাথে নিয়ে ইনিংস গোছানোর চেষ্টা করেন মুশফিক।

তাদের জুটিতে আড়াই শ’ পেরিয়েছে দলীয় সংগ্রহ। দারুণ খেলতে থাকেন দুজনে, ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৪ বলে ৭৫ রানের জুটি আসে তাদের ব্যাটে। তবে পরপর দুই ওভারে দুইজন ফিরলে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ৪৬তম ওভারে ৫৪ বলে ৪৫ করে আউট হন মুশফিক, পরের ওভারে ৩৯ বলে ৩৭ করে ফেরেন মেরাজ।

রনি তালুকদারের মতো হতাশ করেন আরেক অভিষিক্ত মৃত্যুঞ্জয়ও, শেষ উইকেট হিসেবে ১১ বলে ৮ রান করে ফেরেন তিনি। ফলে ৭ বল বাকি থাকতেই ২৭৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। যেখানে শেষ ১৩ রানেই ৫ উইকেট হারায় টাইগাররা। যার তিনটাই নেন মার্ক অ্যাডায়ার।


এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট