পবিত্র শবে কদর আজ

প্রকাশিত: ৯:৩১ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০২৩

পবিত্র শবে কদর আজ

পবিত্র শবে কদরের রাত আজ। এই রাত মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত মহিমান্বিত একটি রাত। এই রাত ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে কাটান।


রমজানের শেষ ১০ দিনের যে কোন এক বেজোড় রাতই পবিত্র শবে কদরের রাত। তবে বেশীরভাগ আলেম-ওলামার মতে ২৬ রমজানের দিন শেষে ২৭ রমজানের রাতই হচ্ছে মহিমান্বিত সেই রাত। এই রাতেই নাজিল হয়েছিল মুসলমানদের ইহকাল-পরকালের দিক নির্দেশনামূলক পবিত্র কুরআন শরিফ। কদরের এই রাতে পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয় এবং এই রাতকে কেন্দ্র করে কোরআনে ‘আল-কদর’ নামে একটি সুরাও আছে।

‘শবে কদর’ কথাটি ফারসি। শব মানে রাত বা রজনী আর কদর মানে সম্মান, মর্যাদা, গুণ, সম্ভাবনা, ভাগ্য ইত্যাদি। শবে কদর অর্থ হলো মর্যাদার রাত বা ভাগ্যরজনী। শবে কদরের আরবি হলো লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত।

শবে কদর উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ওয়াজ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। জোহরের নামাজের পর শবে কদরের ফজিলত ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা এবং দোয়া মাহফিল হবে। ফজরের নামাজের পর দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইবাদত ও আমলের সমাপ্তি ঘটবে।

লায়লাতুল কদরে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মহামারি, সংঘাত, যুদ্ধবিগ্রহ, অভাব-অনটনসহ বিভিন্ন কারণে হাজার হাজার মানুষ অসহায় অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। সব সংকট থেকে উত্তরণের জন্য তিনি সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনার আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম জাহানের উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেছেন।

এশা এবং তারাবিহ্ নামাজ আদায়ের পর নফল ইবাদত, কুরআন তেলাওয়াত, জিকির-আসকারের মধ্য দিয়ে ফজিলতের এ রাত পালন করবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। শবে কদরের তাৎপর্য তুলে ধরে রাতভর মসজিদে মসজিদে বিশেষ বয়ান চলবে। পাপ থেকে মুক্তি আর সকলের মঙ্গল কামনায় করা হবে বিশেষ মোনাজাত।