এনডিএফ এর প্রতিষ্টাবার্ষিকীতে সিলেটে র‍্যালী ও সমাবেশ

প্রকাশিত: ৮:২৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩

এনডিএফ এর প্রতিষ্টাবার্ষিকীতে সিলেটে র‍্যালী ও সমাবেশ

জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এনডিএফ এর ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রোববার (৫ ফেব্রুয়ারী) বিকেল ৪টায় সুরমা পয়েন্ট থেকে এক লাল পতাকা র‌্যালী সিলেট শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে এসে সমাবেশ করে।

সংগঠনের সিলেট জেলা কমিটির সহ-সভাপতি আবুল ফজল এর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক নাজমুল হোসেনের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন; বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেল কমিটির সভাপতি মো. সুরুজ আলী, জাতীয় ছাত্রদল শাবিপ্রবি শাখার সভাপতি ওসমান গনী, সিলেট জেলা প্রেস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এ কে আজাদ সরকার, সিলেট জেলা স’মিল শ্রমিক ইউনিনয়নের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী, সিলেট সদর উপজেলা স’মিল শ্রমিক সংঘের সভাপতি হজর আলী প্রমূখ।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলন, সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক শক্তির জাতীয় ভিত্তিক সংগ্রাম অগ্রসর করার লক্ষ্যে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল। ৩৫ বছরের এই সংগ্রামের পথে সকল বাঁধা ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আপোষহীনভাবে আঁকা-বাঁকা পথে এগিয়ে চলেছে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের সংগ্রাম। দেশের এই সংকটময় মুহুর্তে সকল দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য আজ খুবই জরুরী। সাম্রাজ্যবাদের দালাল ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকার শ্রমিক-কৃষক-জনগণের উপর শোষন নিপিড়ন-নির্যাতন চালানোর পাশাপাশি ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে মিছিল, মিটিং, সমাবেশের উপর বিধি নিষেধ, বাক, ব্যক্তি স্বাধীনতা ও সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা হরণ করার পাশাপাশি প্রতিপক্ষকে দমন, জনমনে ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করতে খুন, গুম বিনাবিচারে হত্যা, হামলা-মামলা, গণ গ্রেফতার করার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রীয় ও দলীয় সন্ত্রাসকে তীব্র করে সরকার বিরোধী সব ধরনের প্রতিবাদ-প্রতিরোধ স্বদ্ধ করার হীন তৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। আমাদের দেশের ক্ষমতাসীন প্রতিটি সরকারই স্বৈরাচার ও স্বৈরচারী কায়দায় দেশ পরিচালনা করেছে এবং প্রভূ সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালালদের স্বার্থে ভূমিকা রেখেছে। দেশের এই অস্থিরতার পিছনে রয়েছে সাম্রাজ্যবাদীদের আভ্যন্তরিন দ্বন্দ ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বীতা। যে কারণে সা¤্রাজ্যবাদের দালালদের মধ্যে বৃদ্ধি পাচ্ছে সংঘাত, সংর্ঘষ ও উত্তেজনা। এখানে দেশের শাসন ব্যবস্থাকে গণতান্ত্রিক করাটি কোন পক্ষেরই লক্ষ্য নয়- উভয় পক্ষই নিজ কৌশলে ক্ষমতায় টিকে থাকা ও যাওয়ার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত।

সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন: সা¤্রাজ্যবাদ ও তার দালালদের স্বাথরক্ষাকারী নয়াউপনিবেশিক বাংলাদেশে কখনই গণতন্ত্র ছিল না। দেশ পরিচালিত হয় সাম্রাজ্যবাদী নীতি-নির্দেশে। নির্বাচনের ফলাফলও নির্ধারিত হয় তাদের পরিকল্পনায়। বর্তমান সরকার উন্নয়নের যে গালভরা বুলি আওড়াচ্ছে তা মূলত সাম্রাজ্যবাদী লগ্নিপুঁজির সর্বোচ্চ মুনাফার লক্ষ্যে সড়ক, রেল, নৌপথসহ অবকাঠামো নির্মাণে বিনিয়োগ আর সর্বোচ্চ লুটপাট। গার্মেন্ট সেক্টরসহ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, (এসইজেড) অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইজেড) ইত্যাদি নামে সস্তা শ্রমশক্তি লুটপাটের নামে গড়ে উঠবে কলকারখানা। যার উপর নির্ভর করে শেখ হাসিনা বেকারত্ব নিরসনের শ্লোগান দিচ্ছে। সাম্রাজ্যবাদীদের আভ্যন্তরীন দ্ব›দের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ ঘটছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে। ক্ষমতা বহির্ভূত অন্যান্য দালাল রাজনৈতিক দলগুলো প্রভুদের স্বার্থ রক্ষা করে জনগণের স্বার্থকে আড়াল করে নিছক ক্ষমতার প্রশ্নে নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছে। দেশের বর্তমান অবস্থায় প্রয়োজন সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সকল গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য এবং স্বৈরাচার ও স্বৈরতন্ত্র উচ্ছেদে শ্রমিক-কৃষক-জনগণের সমস্যা-সংকট নিয়ে ভোটের আগে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, কর্ম, চিকিৎসা, জিবনের নিরাপ্তার নিশ্চয়তার জন্য লাগাতার আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তুলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, সরকার ও সংবিধান প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অগ্রসর হওয়া।


 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট