২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:২০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০২৩
শীত মৌসুমে শুকিয়ে অনেক স্থানে নালায় পরিণত হয় সুরমা নদী। আর বর্ষা মৌসুমে সিলেটের এই প্রধান নদী তার ভয়াবহ রূপ দেখায়। তীর উপচে নগরে পানি ঢুকে সৃষ্টি হয় বন্যা। এ সময় বাসা-বাড়িতে পানি ডুবে যাওয়ার পাশাপাশি অধিকাংশ এলাকা পানিতে থলিয়ে যায়। এভাবেই বিদায়ী বছরে দুই দফা বন্যায় নগরের বাসিন্দাদের নাকাল হতে হয়। এরপর থেকে বিশেষজ্ঞরা সুরমা খননের দাবী করে আসছেন।
অবশেষে শুরু হয়েছে সুরমার খনন কাজ। তবে এখনো পুরোদমে শুরু হয়নি। চলছে পরীক্ষামূলক খনন। কয়েক দিনের মধ্যে পুরোদমে খনন কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন পাউবো কর্মকর্তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২২ সালের মে ও জুন মাসে সিলেটে নগরীতে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়। ওই সময় সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বন্যা নিরসনে সুরমা নদী খনন, শহরক্ষা বাঁধ, নদী ও ছড়া-খালের উৎসমূখে স্লুইস গেট নির্মাণের দাবি তোলা হয়। পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রীও সুরমা খননের উপর জোর দেন। এর প্রেক্ষিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কুশিঘাট থেকে লামাকাজি সেতু পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার সুরমা নদী খননের একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ওই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। পরে নদী খননের জন্য দুটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হয়। এরপর ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ড্রেজার মেশিন ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নিয়ে আসেন। ইতোমধ্যে কয়েকটি স্থানে ‘ট্রায়াল রান’ করা হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষেই শুরু হবে আনুষ্ঠানিকভাবে খনন কাজ।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমদ জানান, কুশিঘাট থেকে লামাকাজি সেতু পর্যন্ত খনন হলে সুরমার নাব্যতা বাড়বে। একই সাথে বাড়বে পানি প্রবাহ। যে কারণে বর্ষায় সিলেট নগরীতে বন্যার আশঙ্কা কমবে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে আগামী জুন মাসের মধ্যেই খনন কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা। তবে কেবলমাত্র সুরমা খনন করলেই সিলেট নগরীকে বন্যা কিংবা জলাবদ্ধতা মুক্ত করা যাবে না। এজন্য নগরীর ভেতর দিয়ে প্রবাহিত ছড়া ও খালগুলোর পানি প্রবাহের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে। অনেক সময় নদীতে পানি কম থাকলেও ছড়া ও খালে প্রতিবন্ধকতা থাকায় পানি নামতে দীর্ঘ সময় নেয়।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এসএম শহীদুল ইসলাম জানান, লামাকাজি পর্যন্ত কোথাও ২০ ফুট আবার কোথাও ১৫ ফুট খননের ডিজাইনসহ কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। সুরমা নদী খননের ‘প্রি ওয়ার্ক’ শুরু হয়ে গেছে। ‘ট্রায়াল রান’ হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যে পুরোদমে খনন কাজ শুরু হবে।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D