৩০শে জানুয়ারি, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই মাঘ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:০৫ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২, ২০২২
সাবেক চ্যাম্পিয়ন স্পেনকে ২–১ গোলে হারানোর মতো চমক দেখিয়ে কাতার বিশ্বকাপের ই গ্রুপের সেরা হয়ে মাথা উঁচিয়ে শেষ ষোলোতে প্রবেশ করল এশিয়ার দেশ জামান। রোমাঞ্চকর নাটকীয় খেলায় নতুন রূপে জামানকে দেখল বিশ্ববাসী।
এ জয় নকআউট পর্বের পাশাপাশি নিশ্চিত করেছে জাপানের শীর্ষ স্থানও। অন্যদিকে জাপানের কাছে হেরেও শেষ ষোলোতে উঠেছে স্পেন। তবে গ্রুপে দ্বিতীয় স্থান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে ২০১০ সালের চ্যাম্পিয়নদের।
প্রথমার্ধের গল্পটা অবশ্য অন্য রকমই ছিল। খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই চিরচেনা রূপে স্পেন। বলের দখল নিজেদের কাছে গোলমুখ উন্মোচনের চেষ্টা করে তারা। বিপরীতে জাপানের পরিকল্পনা ছিল ৫ জনকে নিচে রেখে প্রতি-আক্রমণ থেকে সুযোগ তৈরির চেষ্টা করা।
ম্যাচের শুরুতেই বল দখলে নিজেদের আধিপত্যের জানান দেয় স্পেন। মাত্র ৮ মিনিটেই সুযোগ পেয়েছিল তারা। কিন্তু বুসকেটসের শট চলে যায় গোলবারের বাইরে দিয়ে। তবে গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি স্পেনকে। ১১ মিনিটের মাথায় আজপিলইকুয়েতার ক্রস থেকে দারুণ হেড করে দলকে এগিয়ে দেন মোরাতা। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ৬০ ম্যাচে এটি তার ৩০তম গোল।
ম্যাচের বাকিটা সময় বল নিজেদের দখলে রেখে মাঝমাঠ দিয়ে আক্রমণের অনেক চেষ্টা চালায় স্পেন। ২৬ মিনিটে দানি ওলমোর শট বাইরে চলে যায় গোলবার ঘেষে। জাপান বলার মত তেমন কোনোই আক্রমণ করতে পারেনি। ৮২ শতাংশ বল পজিশন নিয়ে স্পেনের আধিপত্য বিস্তারই প্রমাণ করে ম্যাচ কতটা একপেশে ছিল। ১-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় স্পেন।
এগিয়ে যাওয়ার পরও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছেই রাখে স্পেন। জাপান বলের দখল নিলেও স্পেনের কাউন্টার প্রেসিংয়ে বল বেশি সময় কাছে রাখতে পারছিল না তারা। এশিয়ান দলটি অবশ্য পিছিয়ে পড়েও ডিফেন্স ছেড়ে আসার সাহস দেখাতে পারছিল না।
প্রতি–আক্রমণে হুটহাট উইং ধরে ওঠার চেষ্টা করলেও সেসব প্রচেষ্টা অ্যাটাকিং থার্ডে পৌঁছানোর অনেক আগেই থামিয়ে দিচ্ছিল স্প্যানিশ ডিফেন্ডাররা। ২২ মিনিটে স্পেনের আরেকটি আক্রমণ জাপানকে হুমকিতে ফেললেও তাতে ফল মেলেনি।
স্পেনের দুর্দান্ত পজিশনিং এবং মাঝমাঠে পাসের পসরায় রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠছিল জাপানের। বলের খোঁজে স্প্যানিশ খেলোয়াড়দের পেছনে ছুটে বেড়াচ্ছিলেন শুধু। যদিও তাতে লাভ কিছুই হচ্ছিল না।
এরপর অবশ্য ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে জাপান। দারুণ একটি আক্রমণও তৈরি করেছিল। তবে স্প্যানিশ ডিফেন্সে গিয়ে ব্যর্থ হয় সেই প্রচেষ্টা। তবে প্রথমার্ধে জাপানের প্রচেষ্টা বলতে এটুকুই, যেখানে একটি অফ টার্গেট শট ছাড়া আর কিছুই ছিল না। এরপর আবারো সেই স্প্যানিশ দাপটের গল্প। হতাশা নিয়েই বিরতিতে যায় জাপান।
তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে স্পেন থিতু হওয়ার চমকে দেয় জাপান। কৌশল বদলে স্পেনকে পাল্টা চাপে ফেলার চেষ্টা করে তারা। যার ফল আসে ৪৮ মিনিটে। স্প্যানিশ ডিফেন্সের ভুলে বল পেয়ে ডি-বক্সের একটু বাইরে থেকে বুলেট গতির শট নেন রিতসু দোয়ান। বলে হাত লাগিয়েও সেটিকে বাইরে পাঠাতে পারেননি উনাই সিমন। বলের গতিতে পরাস্ত হন স্প্যানিশ গোলরক্ষক।
তবে নাটক জমে ওঠে ম্যাচের ৫১ মিনিটে। দারুণ এক আক্রমণে স্প্যানিশ ডিফেন্সে ঢুকে বল পাস দেন দোয়ান। সেই বল কাট ব্যাক করে আও তানাকার কাছে পাঠান কারোরু মিতোমা। নিখুঁত ফিনিশিংয়ে লক্ষ্যভেদ করেন তানাকা। তবে মিতোমা বল কাট ব্যাক করার আগে বল গোললাইন পেরিয়েছে কি না, এমন সন্দেহ হওয়ায় ভিএআরের সাহায্য নেন রেফারি। তবে শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্তটি জাপানের পক্ষে যায় এবং ম্যাচে লিড নেয় জাপান।
পরপর দুই গোল হজম করে চাপে পড়ে যায় স্পেন। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণও হারায় তারা। এ সময় আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে স্প্যানিশ ডিফেন্সের পরীক্ষা নিতে শুরু করে এশিয়ান দলটি।
ফল বদলাতে একাধিক পরিবর্তন আনেন লুইস এনরিকে। তবে কাজের কাজটা হচ্ছিল না কিছুতেই। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি স্পেন। অন্যদিকে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল জাপানও। তবে তারাও আর গোল পায়নি। যদিও তাতে কোনো সমস্যা হয়নি। জাপান পেয়েছে দুর্দান্ত এক জয়। ই গ্রুপের সেরা দল হয়ে নকআউটে পা রাখে এশিয়ার দেশ জাপান।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D