কোস্টারিকা ১ : জাপান ০ : জাপানের কাছে হেরে যাওয়া জার্মানির হিসাব পাল্টে দিল কোস্টারিকা

প্রকাশিত: ৯:৪৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৭, ২০২২

কোস্টারিকা ১ : জাপান ০ : জাপানের কাছে হেরে যাওয়া জার্মানির হিসাব পাল্টে দিল কোস্টারিকা

আগের ম্যাচে স্পেনের কাছে ৭ গোল খাওয়া কোস্টারিকার বিপক্ষে আজ ১-০ গোলে হেরে গেছে শক্তিশালী জার্মানিকে হারিয়ে জয় পাওয়া জাপান। এ ম্যাচে জয় পেলে যেখানে জাপানের দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হয়ে যেত, সেখানে হেরে গিয়ে নিজেদের অনিশ্চয়তার মধ্যেই ফেলে দিয়েছে ব্লু সামুরাইরা। প্রথম ম্যাচেই জার্মানিকে হারিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছিল জাপান। সে চমকের কারণেই কোস্টারিকার বিপক্ষে ম্যাচটি নিয়ে আলাদা একটা প্রত্যাশা ছিল সবার। গোটা ম্যাচে গোলে একটি শট নিয়ে সেটিই কাজে লাগিয়ে বাজিমাত করেছে কোস্টারিকা। আর জাপানের এই হারে নিশ্চিতভাবে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে জার্মানিও। জাপানের এ হারে ২ ম্যাচ থেকে জাপানের পয়েন্ট ৩। কোস্টারিকাও ২ ম্যাচে পেয়েছে সমানসংখ্যক ৩ পয়েন্ট। জাপানের এ জয়ে সুবিধা হয়েছে জার্মানির। আজ রাতের ম্যাচে স্পেনের বিপক্ষে হেরে গেলেও জার্মানির দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার আশা টিকে থাকবে। গ্রুপ ‘ই’ থেকে এখন দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার সুযোগ আছে সবারই।

আল রাইয়ানের আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়ামে শুরু থেকে আধিপত্য ছিল জাপানেরই। কিন্তু আক্রমণের পর আক্রমণে কোস্টারিকার রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত করে ফেললেও কাজের কাজটা তারা করতে পারেনি। কোস্টারিকা দলের খেলোয়াড়দের ম্যাচের বেশির ভাগ সময়ই বলের পেছনে ছুটিয়েছে জাপানিরা। বিশ্বকাপে এই প্রথম একে অন্যের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলেছে জাপান ও কোস্টারিকা। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহুর্তে এসে কোস্টারিকার একমাত্র অন টার্গেট শটটিতে গোল করেন কেইশার ফুলার। আর তাতেই ম্যাচ হাতছাড়া হয় সামুরাই ব্লুদের।

প্রায় ৬০ শতাংশ সময় বল নিজেদের দখলেই রেখেছে জাপান। উপহার দিয়েছেন নান্দনিক পাসিং ফুটবল। ১৩ বার গোলের সুযোগও তৈরি করেছিল দলটি, যা কোস্টারিকা থেলে তিনগুণেরও বেশি। অন টার্গেট শটও ছিল তিনটি। কর্নারও আদায় করে নিয়েছিল ৫টি। তবে গোল ভাগ্যেই বিধাতা সায় দেয়নি। সায় দিয়েছিল কোস্টারিকার পক্ষে। তাদের একমাত্র অন টার্গেট শটই গোলে পরিণত হয়।

ম্যাচের শুরু থেকেই মাঝমাঠে বল ধরে রেখে খেলেছে জাপান। শুরুতেই চাপে পড়ে যাওয়া কোস্টারিকার খেলা গুছিয়ে আনতেও বেশ সময় লেগেছে। ম্যাচের ৩ মিনিটেই গোলের সুযোগ পেয়েছিল জাপান। কিন্তু রিতসু দোয়ানের নেয়া শট বাম পাশ দিয়ে চলে গেলে বেঁচে যায় কোস্টারিকা। ২৩ মিনিটের মাথায় কোস্টারিয়ান খেলোয়াড় কন্ট্রেরাস বল নিয়ে জাপানের ডিফেন্সে ঢুকে গেলেও তার শট ক্লিয়ার করেন জাপানিজ ডিফেন্ডাররা। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে দুই দু‘বার গোলের সুযোগ পেয়েছিল কোস্টারিকা। কিন্তু প্রথমে ফ্রান্সিসকো কালভো ও পরে জোয়েল ক্যাম্পবেল দু‘জনকেই থামিয়ে দেন জাপানিজ গোলকিপার সুইচি গোন্ডা।

প্রথমার্ধে বেশ ধীমেতালে খেলছে দু‘দলই। দু‘দলের কেউই তেমন শট নেয়ার চেষ্টাই করেনি। জাপান গোলপোস্ট বরাবর ৩টি ও কোস্টারিকা ৩টি শট নিলেও কোনো দলই অন টার্গেটে কোনো শট নিতে পারেনি। দু‘দলের কেউই কারো অর্ধে অন টার্গেট শট নিতে পারেনি। এবারের বিশ্বকাপে এই প্রথমবারের মত এমন ঘটনা ঘটল।

তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আক্রমণে যায় জাপান। আসানোর থ্রু বলে ম্যাচের প্রথম অন টার্গেট শট নেন মোরিতা। কেইলর নাভাস দ্রুত রিফ্লেক্স দেখিয়ে শটটি সেইভ করেন।

৫৭ মিনিট সময়ে লেফট ফ্ল্যাংক ধরে এগিয়ে গিয়ে গোলের সুযোগ তৈরি করেন সোমা। কিন্তু তার নেয়া শটটি চলে যায় বারের ডানদিক দিয়ে। ৬৩ মিনিটের মাথায় জাপান একটি ফ্রি কিক পেলে সেখান থেকেও গোল করার আরেকটি সুযোগ মিস করেন তিনি।

জাপান দু‘বার সুযোগ মিস করলেও মিস করেনি কোস্টারিকা। খেলার নির্ধারিত সময়ের শেষদিকে ঠিক ৮১ মিনিটের মাথায় ম্যাচের প্রথম এবং একমাত্র অন টার্গেট শট থেকে গোল করেন কোস্টারিকা রাইটব্যাক কেইশার ফুলার। জাপানের খেলোয়াড়দের পা থেকে বল নিয়ে দৌড়াতে শুরু করেন ইগনাশিও তেজেদা। তার কাছ থেকে বলটি রিসিভ করে গোলবার বরাবর শট নেন ফুলার। গোন্দার আঙুল ফসকে জালে জড়ায় বল। ৮৮ মিনিটের মাথায় মিতোমা এবং কামাডোর যৌথ প্রচেষ্টায় একটি গোলের সম্ভাবনা তৈরি হলেও গোল লাইনের খুব কাছে এসে বল গ্লাভসবন্দি করে কোস্টারিকাকে বাঁচিয়ে দেন নাভাস।


 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট