৯ই আগস্ট, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে শ্রাবণ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:৪০ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৯, ২০২২
মৃত্যুর পরেও ছাড়ছে না প্রতারণা! প্রবাসী কর্মীর মৃত্যু হলে দ্রুত লাশ দেশে প্রেরণ এবং বকেয়া বেতন অর্থ বা ক্ষতিপূরণ পেতে সহযোগিতার নামে চলে প্রতারণা। এ ঘটনা অনেক পুরাতন হলেও এখনো আশানুরূপ কোনো প্রতিকার মেলেনি; যা প্রবাসীর পরিবারকে আশ্বস্ত করতে পারে। যেমন দুর্ভাগ্য দেখা দিয়েছে মালয়েশিয়া প্রবাসী কর্মী হালিমের মৃত্যুতেও। হালিমের অস্বাভাবিক মৃত্যু লক্ষ প্রবাসীর হৃদয়কে নাড়া দিয়েছে।
টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মালয়েশিয়া প্রবাসী হালিম (৪৬), তিন মাস আগে দেশে ছুটিতে গিয়েছিলেন। চলতি বছরের ১৭ জুলাই দেশ থেকে মালয়েশিয়া কর্মস্থলে ফিরছিলেন। হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরে পরিবারের সবাই বিদায় জানালেন। মালয়েশিয়া বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনের কাজ সম্পন্ন করে বাহিরে এসে বিমানবন্দরে একটি রেষ্টুরেন্টে ব্যাগ রেখে ওয়াশরুমে যান এবং সেখানেই মৃত্যুরকোলে ঢলে পড়েন তিনি। এরপর বিমানবন্দর পুলিশ তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে চেকআপ করে জানালেন হালিম কোভিডে আক্রান্ত ছিলেন। পরে হালিমের মরদেহ মালয়েশিয়ার সারডাং হাসপাতালে রাখা হয়। কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করলে মরদেহ বাংলাদেশে প্রেরণ করা হয় না। সরকারের বিধি অনুযায়ি মালয়েশিয়ায় দাফন করা হয়।
প্রবাসীরা বলছেন, মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে নিজ দেশ ত্যাগ করে এখন লাশ হয়েও দেশে ফেরা হচ্ছে না হতভাগা হালিমের!
হালিমের স্ত্রী রোমা বেগম মরদেহ দেশে ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করেছেন। হালিমের দুই ছেলে এক মেয়ে রয়েছে। ১৫ বছর বিদেশ করে দেশে যাওয়ার পর বাবার কাছে ছেলে মেয়ের কত আবদার। শেষ পর্যন্ত সেসব আবদার আর পূরণ করতে পারলেন না হালিম। এর আগেই পরপারে চলে গেলেন তিনি। এ রকম পরিণতিতে পরিবার অসহায় অবস্থায় পড়েছে।
এ দিকে কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় হালিমের লাশ মালয়েশিয়ায় দাফন করার জন্য তার পরিবারের সম্মতিতে হাইকমিশন মালয়েশিয়া সরকারের নিকট লাশ কবর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। এ জন্য হালিমের নিয়োগকর্তা থেকে বৈধ কাগজপত্র পাওয়ার জন্য হালিমের কোম্পানি লাংকা মোরনী এসডিএন বিএইচডির মালিক (বাংলাদেশি) দেলোয়ারের সঙ্গে টেলিফোনে বারবার যোগাযোগ করেছে। যদিও তার কোনো সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না।
নিয়ম অনুযায়ি কোম্পানি হালিমের লাশ দাফনে কাসকেট কোম্পানিকে দায়িত্ব দিয়ে থাকে। তবে তার কোম্পানি এখন পর্যন্ত কোনো লাশ দাফনের জন্য কাসকেট কোম্পানি নিযুক্ত করে হাইকমিশনে পত্র দেয়নি। ফলে দ্রুত দাফন এবং ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তির কাজ সম্পাদন করতে পারছে না হাইকমিশন।
এ বিষয়ে হাইকমিশনের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মালয়েশিয়া সরকারের বিধি অনুযায়ি, কোনো নিয়োগকর্তা কোম্পানি যদি কর্মীর সমস্যায় এগিয়ে না আসে মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, লাশ দেশে প্রেরণ বা দাফনের জন্য এক ধরনের প্রতারক চক্র কাজ করে বলে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রবাসীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছেন।
এ দিকে বর্তমানে হালিমের বেতন নিয়েও চলছে প্রতারনা। হৃদয় নামে এক বাংলাদেশি প্রতারক হালিমের স্ত্রীকে ফোন করে জানিয়েছিল গত ১৮ জুলাই তার বেতনের টাকা পাটিয়ে দিবে। এরপর থেকে প্রতারক হৃদয়ের ফোন বন্ধ রয়েছে। এরপর হালিমের পরিবার ক্ষতিপূরণ কবে পাবে সে বিষয়টিও এখন নিশ্চিত নয়।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Executive Editor : M A Malek
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01711912127
Design and developed by M-W-D