১লা জুলাই, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই আষাঢ়, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:৩৮ পূর্বাহ্ণ, মে ২০, ২০২২
কোম্পানীগঞ্জে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য নির্মিত প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ২৭ ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। গত পাঁচ দিন ধরে ঘরের বাসিন্দারা আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে থাকছেন। স্বপ্ন পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ঘরের বাসিন্দারা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, মুজিব বর্ষে এ উপজেলায় ভূমিহীন-গৃহহীনদের জন্য ২৮৩টি ঘর নির্মাণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অর্থায়নে ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে উপজেলার ছয় ইউনিয়নের ২৫০টি পরিবারকে জমিসহ ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এখানে প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা।
এরপর গত ২৬ এপ্রিল তৃতীয় ধাপে ৩৩টি পরিবার পায় উপহারের ঘর। এগুলোর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা। এ ছাড়া আরও ২৫টি ঘরের কাজ চলমান রয়েছে।
২৮৩ ঘরের মধ্যে পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের চন্দ্রনগরে একত্রে ২৭টি ঘর তৈরি করে নাম দেওয়া হয় ‘মুজিবনগর’।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে দেখা গেছে, সরকারি উদ্যোগে নির্মিত ২৭টি ঘর পানিতে ডুবে রয়েছে। ঘরগুলোর চারপাশে পানি থই থই করছে। সেখানকার পরিবারগুলো আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে উঠেছেন।
উপহারের ঘরের বাসিন্দা সনতেরা ও আছারুন বেগমের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, গত পাঁচ দিন ধরে ঘরগুলো ডুবে আছে। ঘরে থাকা মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। হাঁস-মুরগি পানিতে ভেসে গেছে। এ অবস্থায় উত্তর কলাবাড়ি গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে এসে উঠেছেন। তাঁদের সহায়তায় এখন পর্যন্ত কেউ এগিয়ে আসেননি। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিকটবর্তী চন্দ্রনগরে উঠেছেন আজাদ মিয়া। তিনি বলেন, ‘ঘরটি আমার একমাত্র সম্বল। তাই পরিবারের সদস্যদের আত্মীয়ের বাড়িতে রেখে ঘর পাহারা দিচ্ছি।’
ঘর বরাদ্দ পাওয়া রহিম, লীলমণ বিশ্বাস, গৌরাঙ্গ বিশ্বাস, কার্তিক বিশ্বাস ও সুবল চন্দ্র বিশ্বাসসহ কয়েকজন জানান, এটি নিচু জায়গা, ঘর নির্মাণকালে বারবার বলেছি মাটি ফেলে জায়গাটি উঁচু করার জন্য। কিন্তু কেউ আমাদের কথা শোনেনি।
ঘর পাওয়া আরেক ভূমিহীন বলেন, ঘর তৈরির জন্য হাওরের জায়গা নির্বাচন করাটাই ভুল ছিল। প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়েও আমাদের মতো গরিবের কোনো উপকার হলো না।
পূর্ব ইসলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলমগীর আলম বলেন, ‘২৭টি ঘরের চালা সমান পানি। পরিদর্শনে গিয়ে তিনটি পরিবারকে পেয়েছি। তারা পার্শ্ববর্তী চন্দ্রনগরে আশ্রয় নিয়েছেন। মাঝেমধ্যে ঘরগুলো দেখে যাচ্ছেন।
কোম্পানীগঞ্জ ইউএনও লুসিকান্ত হাজং বলেন, ‘গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য এটি প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প। এখানে আমার যোগদানের আগেই ঘরগুলো হয়েছে। জায়গাটি নিচু হওয়ায় পানিতে ডুবে গেছে। এখানকার পরিবারগুলো আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের খুঁজে বের করে বিশেষ সহায়তা প্রদান করা হবে।’
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Executive Editor : M A Malek
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01711912127
Design and developed by M-W-D