সুরমা উপচে প্লাবিত সিলেট নগরী

প্রকাশিত: ১২:০২ পূর্বাহ্ণ, মে ১৭, ২০২২

সুরমা উপচে প্লাবিত সিলেট নগরী


সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। সুরমা নদীর পানি উপচে শহরে প্রবেশ করছে। সোমবার সকাল থেকে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, সিলেটে বৃষ্টি কমলেও ঢলের কারণে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।



সরেজমিনে দেখা গেছে, সোমবার সকাল থেকে সুরমা নদীর তীর উপচে নগরের বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। এতে তলিয়ে যায়, নগরের উপশহর, সোবহানিঘট, কালিঘাট, ছড়ারপাড়, শেখঘাট, তালতলা, মাছিমপুরসহ বিভিন্ন এলাকা। এসব এলাকার বাসাবাড়ি, দোকানপাট ও বিভিন্ন স্থাপনায়ও পানি ঢুকে পড়ে।

নগরের উপশহরের বাসিন্দা নিজাম উদ্দিন ইমন বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি বাসার ভেতরে পানি ঢুকে পড়েছে। আমাদের পুরো এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেল ৫টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১.২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। রোববার সন্ধ্যা ৬টার চেয়ে সোমবার সকালে এ পয়েন্টে পানি বেড়েছে ০.৩ সেন্টিমিটার।

এদিকে প্রধান দুই নদীসহ তিন নদীর তিনটি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সুরমার পানি সিলেট পয়েন্টে রোববারের চেয়ে আজ (সোমবার) বেড়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় সিলেট পয়েন্টে পানি ছিল ১০.৪৯ সেন্টিমিটার। সকালে পানিসীমা দাঁড়িয়েছে ১০.৬৬ সেন্টিমিটার।

অপরদিকে কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশিদ পয়েন্টে সোমবার সকালে বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ নদীর পানি শেরপুর পয়েন্টেও বেড়েছে।

রোববার সন্ধ্যায় এ পয়েন্টে পানিসীমা ছিল ৬.৮৩ সেন্টিমিটার; সোমবার সকাল ৯টায় পানিসীমা বেড়ে হয় ৬.৯৬ সেন্টিমিটার। পানি বেড়েছে ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টেও। এখানে সোমবার সকাল ৬টায় পানিসীমা ছিল ৮.৭০ সেন্টিমিটার; সকাল ৯টায় পানিসীমা দাঁড়ায় ৮.৭৪ সেন্টিমিটার।

এছাড়া গোয়াইনঘাটের সারি নদীর পানি বিপদসীমার ০.৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কানাইঘাটের লোভা নদীর পানি রোববারের চেয়ে বেড়েছে ০.৩৪ সেন্টিমিটার। রোববার ছিল ১৪.৩৬ সেন্টিমিটার; সোমবার সকালে ১৪.৬৫ সেন্টিমিটার।

আবহাওয়া অধিদফতর সিলেটের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, সিলেটে রোববার থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমেছে। তবে উজানে ভারতীয় ভূখণ্ডে বৃষ্টি হচ্ছে, এ কারণে ঢল নামছে। ফলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।


সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট