চেনা রূপে সিলেটের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত: ৪:২৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৫, ২০২২

চেনা রূপে সিলেটের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

দুই বছর পর আবার মাধ্যমিক পর্যায়ে শুরু হয়েছে পুরোদমে শ্রেণি কার্যক্রম। এতোদিন স্কুল-কলেজে সীমিত পরিসরে ক্লাস চলছিল। অন্যদিকে টানা দুই বছর বন্ধ থাকার পর প্রাক-প্রাথমিকেও সশরীরে পাঠদান শুরু হয়েছে আজ।


মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) পুরোদমে ক্লাস চালু হওয়ায় সকাল থেকেই উৎসবমুখর ছিল সিলেটের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের আঙিনা।  শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক সবার মধ্যেই দেখা গেছে খুশির আমেজ। কোথাও কোথাও শিশুদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়েছে।

সিলেট নগরের একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। পুরোদমে ক্লাস চালু হওয়ায় উচ্ছ্বসিত শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। স্কুলের সামনে সামনে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের ভিড়। সময়ের আগে অনেকেই এসেছেন স্কুলের ফটকের সামনে। সেখানে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কুশল বিনিময় করছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পা রেখেই আনন্দে মেতে ওঠে শিক্ষার্থীরা। স্কুলপ্রাঙ্গণ আবারও মুখরিত সেই চিরচেনা অবয়বে।

সিলেট নগরের প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজারের সরকারি কিন্ডারগার্টেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেখা গেছে, শরীরের তাপমাত্রা মাপার পর শিশু শিক্ষার্থীদের ভেতরে ঢোকানো হচ্ছে। পরে শিশুদের ফুল দিয়ে বরণ করে নিচ্ছেন শিক্ষকরা। এরপর শিক্ষার্থীদের হাত স্যানিটাইজ করে ক্লাসে প্রবেশ করানো হচ্ছে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, করোনার কারণে আমরা এতদিন সবাই মিলে ক্লাসে আসতে পারিনি। এখন থেকে পারবো। খেলতেও পারবো। একসাথে স্কুলে আসতে পারবো। আবার একসঙ্গে বাসায় যেতেও পারবো।


শিক্ষকরা বলছেন, সব শ্রেণির শিক্ষার্থী আসায় পুরনো চেহারায় ফিরেছে শিক্ষাঙ্গন। দীর্ঘদিন পর এটি হওয়ায় তারা খুবই আনন্দিত।

সরকারি কিন্ডারগার্টেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাসিমা আক্তার চৌধুরী বলেন, ‘আবারও আগের চেহারায় ফিরলো স্কুল। বিষয়টি একজন শিক্ষক হিসেবে আমার জন্য আনন্দের।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি ভাবলেই অবাক লাগে, গত দুই বছর আমরা স্বাভাবিক শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নিতে পারিনি। আজ আবার সেই আগের অবস্থায় ফিরলো স্কুল। বিষয়টি নিয়ে আমি খুবই আনন্দিত। আজ মনে হচ্ছে দুই বছর আগের দিনে ফিরে গেলাম। এই পরিস্থিতি যেন বজায় থাকে এই জন্য আমি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করবো।’

উল্লেখ্য, কোভিড মহামারির কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিস্থিতির উন্নতি হলে ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষা স্তরের প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। তবে বন্ধ থাকে প্রাক-প্রাথমিক স্তর।

এরপর, চলতি বছরের শুরুতে সংক্রমণ আবারও বেড়ে গেলে ২১ জানুয়ারি থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এক মাস পর (২২ ফেব্রুয়ারি) প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এবং উচ্চশিক্ষা স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে।