শিক্ষকদের আলোচনার প্রস্তাব নাকচ করে দিলো শাবি’র অনশনরত শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ৬:৩৯ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২০, ২০২২

শিক্ষকদের আলোচনার প্রস্তাব নাকচ করে দিলো শাবি’র অনশনরত শিক্ষার্থীরা

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগের দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের আলোচনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে।

বুধবার রাত পৌনে ৯টায় শাবি’র কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষক ভিসির বাসভবনের সামনে অনশনরত শিক্ষার্থীদের কাছে আসেন। তারা অনশন ভাঙ্গানো এবং শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলার প্রস্তাব দেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা ভিসির পদত্যাগের দাবির বিষয়ে একমত কি না সেই বিষয়ে উত্তর জানতে চান। তবে, পদত্যাগের দাবির বিষয়ে কোনো উত্তর না দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কথা বলার সুযোগ দেননি। প্রায় আড়াই ঘন্টা পর শিক্ষকবৃন্দ অনশনস্থল ত্যাগ করেন।

গত রোববার শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলার পর থেকেই শিক্ষার্থীরা ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদসহ প্রক্টরিয়াল বডি এবং ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালকের পদত্যাগের পাশাপাশি পুলিশের দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে। পদত্যাগের ঘোষণা না আসায় ২৪ জন শিক্ষার্থী বুধবার বেলা ৩টা থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন এবং পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা অনশন চালিয়ে যাবেন মর্মে ঘোষণা দেন।

এদিকে, রাত পৌনে ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ছাড়াও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলশি কুমার দাশের নেতৃত্বে সিন্ডিকেট সদস্য, অনুষদের ডিন, বিভাগের প্রধানসহ প্রায় শতাধিক শিক্ষক ভিসির বাসভবনের সামনে আসেন। অনশনস্থলে এসে তারা শিক্ষার্থীদের সাথে সহমর্মিতা প্রকাশ করেন এবং তাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু, ভিসির পদত্যাগের বিষয়ে একমত না হওয়ায় শিক্ষকদের কথা শিক্ষার্থীরা শুনেনি। শিক্ষার্থীরা বলেন, ভিসির পদত্যাগের সাথে একমত হলেই শিক্ষকদের কথা শুনবেন ও আলোচনা করবেন তারা। কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড, তুলশি কুমার দাশসহ অন্য সিনিয়র শিক্ষকবৃন্দ কথা বলার চেষ্টা করলে কথা না শোনার জন্য শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।

এ সময় হ্যান্ডমাইকে শিক্ষকবৃন্দ শিক্ষার্থীদের বুঝানোর চেষ্টা করেন এবং শিক্ষকবৃন্দ বলেন, এই ক্যাম্পাসে কোনো শিক্ষক, ভিসি স্বৈরাচারী আচরণ করতে পারবে না। হামলার বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে। এই ঘটনায় জড়িত থাকলে ভিসিকে চলে যেতে হবে। কেউ গুলি মারা, বোমা মারার সংশ্লিষ্ট থাকলে তাকে চলে যেতে হবে।’ এ সময় মামলায় শিক্ষার্থীদের কিছু হবে না বলে আশ্বস্ত করেন তারা। এছাড়া, অনশন ভাঙার জন্য অনুরোধ করেন এবং শিক্ষকদের পক্ষ থেকে এক সাথে খাবার আয়োজনের প্রস্তাব করেন। কিন্তু, শিক্ষকদের সেই প্রস্তাব না মানায় শিক্ষকবৃন্দ সাড়ে ১১টায় অনশলস্থল ত্যাগ করেন।


 

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট