‘আগামী নির্বাচনেও প্রহসনের খেলা হবে’

প্রকাশিত: ৪:১৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০২২

‘আগামী নির্বাচনেও প্রহসনের খেলা হবে’

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠন আইন প্রণয়নের নামে সরকার যেটা করতে যাচ্ছে তা দেখে মনে হচ্ছে আগামী নির্বাচনেও একটা প্রহসনের খেলা হবে।

তিনি বলেন, আগের দিন পর্যন্ত আইনমন্ত্রী বললেন, সময়ের অভাবে করা যাবে না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী খেলা দেখায়া দিলেন, বাঁদর নাচ দেখায়া দিলেন। পরদিন মন্ত্রিপরিষদে আইনের খসড়া পাস করিয়ে দেওয়া হলো। এখনো তা জনগণকে জানানো হয়নি।

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘মাদকের ভয়াবহতা রোধে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অ্যান্টি ড্রাগ সোসাইটি আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি আরও বলেন, প্রস্তাবিত আইনেও সরকারি কর্মকর্তাদের সব ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে। সার্চ কমিটিতে জজ সাহেবদের রাখা বলা হয়েছে। তাদের কয়জন ধূমপান করেন, কয়জনের বাড়িতে মদ থাকে সেই হিসাব নিতে হবে।

তিনি বলেন, সরকার ডোপ টেস্টে অনেক উৎসাহী। কিন্তু কতজনকে ডোপ টেস্ট করাবেন। সবগুলোতে সরকারের ভুল নীতি। সরকার তো জনগণের প্রতিনিধি না। সরকার তো নির্বাচিত সরকার না। সরকার হলো ডাকাতির সরকার।

আমলাতন্ত্রের আধিপত্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, মাদকাসক্তির দ্বায়িত্ব দেওয়া হয় এমন ব্যক্তিদের যারা আগে এসব জায়গা কাজ করেনি। সাইকিয়াট্রি, সাইকোলজি কিংবা ডাক্তারির কোনো জ্ঞান নেই। উনাদের একমাত্র কোয়ালিফিকেশন আমলা। ঠিক একই ভাবে যে নির্বাচন কমিশন হবে সেখানেও আমলার প্রাধান্য। আপনারা যদি খেয়াল করে থাকেন ডিসি সাহেবেরা ২৬৬টা দাবি করেছিলেন, তাঁদেরকে সব ক্ষমতা দেওয়া হোক। জনগণের মতামত দরকার নেই, তাঁদেরই ক্ষমতা দেওয়া হোক।

মাদকের বিষয়ে জিরো ট্রোলারেন্স শুধু লোক-দেখানো মন্তব্য করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, সকারের মাদকের বিষয়ে জিরো ট্রোলারেন্স শুধু প্রচারের জন্য। তুমি যা পারো করতে থাকো। আমি লুট করেছি রাতের বেলার ভোট, তুমি লুট করো মাদক।