২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:৩৩ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১১, ২০২২
অসম্ভব ছিল সব কিছু। তারপরও লড়াই করলো বাংলাদেশ। লিটন পেলেন সেঞ্চুরি। কিন্তু ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে এড়ানো গেল না ইনিংস হার। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মঙ্গলবার বাংলাদেশ অলআউট ২৭৮ রানে। কপালে জুটল ইনিংস ও ১১৭ রানের হার।
প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৫২১ রানে ডিক্লিয়ার করেছিল নিউজিল্যান্ড। জবাবে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় মাত্র ১২৬ রানে। ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে লড়াকু মানসিকতার পরিচয় দেয় টাইগাররা। কিন্তু দুই দিন হাতে রেখেই শেষ হয় টেস্টের রেজাল্ট। বাজেভাবে হারলেও সিরিজ ১-১ ড্র। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে প্রথমবারের মতো টেস্ট সিরিজ ড্র করার কৃতিত্ব দেখালো বাংলাদেশ। ম্যাচ সেরা ডাবল সেঞ্চুরিয়ান কিউই অধিনায়ক টম লাথাম।
৩৯৫ রানে পিছিয়ে থেকে মঙ্গলবার সকালে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। শুরুটা প্রথম ইনিংসের মতো নয়। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটেও প্রচুর সাবধানি ছিলেন দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও নাঈম শেখ। প্রথম ৮ ওভারে রান আসে ১০।
প্রথম ঘণ্টা প্রায় নির্বিঘ্নে পার করে দিচ্ছিলেন দু’জন। তখনই বিপত্তি। কাইল জেমিসনের বলে উইকেটেপের পেছনে ক্যাচ দেন সাদমান (৪৮ বলে ২১)। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে অসাধারণ ক্যাচ নেন ব্লান্ডেল।
এরপর শান্তর সঙ্গে গড়ে ওঠে নাঈমের জুটি। যদিও বেশ আতঙ্ক ছড়িয়েছেন ওয়াগনার ও জেমিসন। দলীয় ৭১ রানে পড়ে দ্বিতীয় উইকেট। ওয়াগনারের শর্ট বলে পুল শট নিচে রাখতে পারেননি শান্ত, লং লেগে ক্যাচ নেন বোল্ট। শান্তর ক্যামিও থামে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ২৯ করে।
অধিনায়ক মুমিনুল হক প্রথম বলেই রান আউট হওয়া থেকে বেঁচে যান অল্পের জন্য। এক বল পরই ক্যাচের মতো দেন শর্ট লেগে। তবে বিপদ আসেনি। নাঈম এক প্রান্ত আগলে রাখেন ধৈর্য নিয়ে। প্রথম বাউন্ডারি পান তিনি ২২তম ওভারে, ৬৩ বল খেলে। পরের ২৮ বলে কোনো রানই করতে পারেননি তিনি।
লাঞ্চের পর বিদায় নেন নাঈম শেখ। টিম সাউদির বলে তার ক্যাচ নেন টম ল্যাথাম। ৯৮ বল খেলে ২৪ রানে শেষ হয় ব্যাট হাতে নাঈমের অভিষেক পর্ব। দলীয় ১২৩ রানে বিদায় নেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। ওয়াগনারের বলে মুমিনুলের ক্যাচ নেন বিদায়ী টেস্ট খেলতে নামা রস টেইলর। ৬৩ বলে ৪টি চার ও ৩৭ রান করেন মুমিনুল। প্রথম ইনিংসে ফিফটি করা ইয়াসির আলী এদিন বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ২ রান করে তিনিও ওয়াগনারের শিকার হন।
লিটন দাস এরপর সেশনের বাকিটা কাটিয়ে দেন নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে। গড়ে ওঠে দারুণ জুটি। লিটন খেলতে থাকেন বেশ স্বাচ্ছন্দে। ৬৯ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন। আগাতে থাকেন সোহানও। দলীয় ২২৯ রানে ভাঙে এই জুটি। ৫৪ বলে ৩৬ রান করে মিচেলের বলে সাজঘরে ফেরেন সোহান। এই জুটিতে রান আসে সর্বোচ্চ ১০১ রান। বল ১০৫।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D