সিলেটের নতুন কারাগারে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসি কার্যকর

প্রকাশিত: ৪:১৫ অপরাহ্ণ, জুন ১৮, ২০২১

সিলেটের নতুন কারাগারে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসি কার্যকর

দীর্ঘ ১৭ বছর আগে স্ত্রী হত্যার দায়ে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে (নতুন) সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বন্দী নং ১২৪ আসামির মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে। সিরাজুল ইসলাম হবিগঞ্জ জেলার রাজনগর এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। সিলেটের নবনির্মিত নতুন কেন্দ্রীয় কারাগারে এটাই প্রথম ফাঁসি কার্যকর হলো।
সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রায়ের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) রাত ১১ টায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। পরে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন।

সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন বলেন, ২০০৪ সালের মামলা। তার স্ত্রী শাহিদা আক্তারকে তিনি শাবল ও ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন। এরপর ২০০৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক তার ফাঁসি ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে সিরাজ হাইকোর্টে জেল আপিল (নং-১৫৮/২০০৭) করেন। পরে ডেথ রেফারেন্সের (নং-১৮/০৭) আলোকে ২০১২ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্ট সিরাজের জেল আপিল নিষ্পত্তি করে সিলেটের আদালতের রায়ই বহাল রাখেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে সিরাজ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগেও জেল পিটিশন (নং-২৬/১২) দাখিল করেন। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ ২০২০ সালের ১৪ অক্টোবর রায়ে সিরাজের আপিল বাতিল করে ডেথ রেফারেন্সের সিদ্ধান্তই বহাল রাখেন। এরপর সিরাজ প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করলে এ বছরের ২৫ মে রাষ্ট্রপতি তা না মঞ্জুর করেন।

এদিকে কারাসূত্রে জানা গেছে, ফাসি কার্যকর জল্লাদ হলো শাহজাহান, যিনি যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, জামাত নেতা আলী আহসান মুজাহিদ ও কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করেছিলেন। শাহজাহানকে সোমবার বিকেলে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে আসা হয়।

জানা গেছে, ফাঁসি কার্যকর করার আগে সিরাজের ইচ্ছে অনুযায়ী তার পরিবারের সাথে দেখা করার ব্যবস্থা করে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। ফাঁসির মঞ্চে ওঠার আগে সিরাজ খুব শান্ত ছিলেন। কারা রীতি অনুযায়ী ফাঁসির মঞ্চে তোলার আগে সিরাজকে গোসল করানো হয়। এরপর বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটে তওবা করানো হয়।

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মঞ্জুর আলম জানান, স্ত্রীকে হত্যার দায়ে সিরজুল ইসলাম সিরাজের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। প্রাণভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করলে তার আবেদন মঞ্জুর হয়নি। বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় সিরাজের ফাঁসি কার্যকর হয়।


 

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট