হবিগঞ্জে ৩১শ’ কেজি ভিজিডি চাল পাচারের সময় গাড়িসহ চালক আটক

প্রকাশিত: ১১:১৫ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৬, ২০২১

হবিগঞ্জে ৩১শ’ কেজি ভিজিডি চাল পাচারের সময় গাড়িসহ চালক আটক

ভিজিডির চাল পাচারের সময় একটি গাড়ীসহ চালক আটক হয়েছে। পওে ভ্রাম্যমান আদালত আটক পিকআপচালক জাবের মিয়াকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে আজমিরিগঞ্জ – কাকাইলছেও সড়কের নিগমানন্দ আশ্রম রোডে। একটি পিকআপে ভিজিডির চাল পাচার হচ্ছে দেখে স্থানীয় জনতা গাড়িটি আটক করে। পওে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশকে খবর দেন।
নির্বাহী কর্মকর্তা,খাদ্য কর্মকর্তা ও পুলিশ এসে জানতে পারেন ওই পিকআপটি কাকাইলছেও এলাকা থেকে ৫০ কেজি ওজনের ৬২ বস্তা চাল বিক্রির জন্য হবিগঞ্জে যাচ্ছিল। সরকারি চাল যাতে ধরা না পড়ে এর আগে বস্তা পরিবর্তন করা হয়। ৩১‘শ কেজি চাল বহনকারি গাড়ির চালক জাবের মিয়া(৩০) জানান, চালের মালিক মোশাহিদ মিয়া। তার বাড়ি উপজেলার শিবপাশা গ্রামে। এ সময় চালের মালিককে তিনবার মোবাইল করলেও তিনি ঘটনাস্থলে আসেননি।
পওে নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক মতিউর রহমান খান ১৯৫৬ সনের অত্যাবশ্যকীয় পন্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গাড়ি চালক জাবের মিয়াকে এক মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন। একই সময় জব্দ হওয়া চালের ব্যাপাওে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে দায়িত্ব দেয়া হয়। সাজাপ্রাপ্ত জাবেরের বাড়ি আজমিরিগঞ্জে শিবপাশা গ্রামে। সে অতুমিয়ার ছেলে।
একটি বিশ্বস্থ সূত্র জানায়, মোশাহিদসহ একটি চক্র বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বারদেও নিকট থেকে সরকারি চাল কিনে হবিগঞ্জে নিয়ে বিক্রি করে। বছর খানেক আগেও মোশাহিদ ১২০ বস্তা সরকারি চাল পাচারের সময় ধরা পড়ে জেল খেটেছে।
সূত্র আরো জানায়, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ২৩২৯ জন দুঃস্থ ও অসহায় নারী পরিবারকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি পুষ্টি সমৃদ্ধ চাল দেয়ার কর্মসূচী চলছে। এর মধ্যে কাকাইলছেও ইউনিয়নে ৬৪৪ জন দুঃস্থ নারী রয়েছেন। এসব পরিবার ২ বছর পর্যন্ত চাল পাওয়ার কথা। স্থানীয় ইউনিয়ন অফিসে তা বিতরণকরা হয়। ৩০ কেজি চালের বস্তায় ৩শ’ গ্রাম ৬টি ভিটামিন মেশানো থাকে। যা পুষ্টিচাল হিসেবে পরিচিত। আটক ৩১শ কেজি চাল ‘পুষ্টি চাল’ বলে নিশ্চিত হয়েছেন কর্মকর্তারা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মতিউর
রহমান খান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে, আটক চাল কাকাইলছেও ইউনিয়ন থেকেই আনা হয়েছে। তাই এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট দেয়ার জন্য ওই ইউনিয়ন পরিষদ সচিবকে বলা হয়েছে। তার রিপোর্ট পাওয়ার পর উপজেলা মহিলা কর্মকর্তা কোহেলিকা সরকারকে দিয়ে তদন্ত করা হবে।