দক্ষিণ সুরমার জালালপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় মহিলা সহ গুরুতর আহত ৩ জন

প্রকাশিত: ৪:০০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১

দক্ষিণ সুরমার জালালপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় মহিলা সহ গুরুতর আহত ৩ জন

দক্ষিণ সুরমা উপজেলার জালালপুরে মহিলাকে উত্যক্তের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় মহিলা সহ ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত গৌছ আলী, রায়না বেগম ও ফখরুল ইসলাম সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রোববার বিকালে জালালপুর ইউনিয়নের খতিরা মাঝপাড়া গ্রামের গৌছ আলীর বাড়ির পেছনে রইছ আলী ভেরাইটিজ স্টোরে।
ঘটনার ব্যাপারে খতিরা মাঝপাড়া গ্রামের গৌছ আলীর স্ত্রী রায়না বেগম বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় একই গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে আহাদ আহমদ, আত্তর আলীর ছেলে এনাম আহমদ, আহাদ আহমদের ছেলে হেলাল আহমদ ও বেলাল আহমদ, ওয়াছিব উল্লাহর ছেলে তমিজ উল্লা, আব্দুল জব্বারের ছেলে রহমত মিয়া, রহমত মিয়ার ছেলে সুলতান আহমদ-কে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। যার নং- ১৪, তারিখ- ১৫/০২/২০২১ইং।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামীদের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ বাদীর বিরোধ চলে আসছে। আসমীগণ বিভিন্ন সময় বাদী রায়না বেগমকে রাস্তা-ঘাটে বিরক্ত করে। বিষয়টি রায়না বেগম তার স্বামী গৌছ আলী ও দেবার ফখরুল ইসলামকে অবগত করেন। তারা বিষয়টি আহাদ আহমদ এর কাছে জানতে চাইল কথাকাটির জের ধরে আসামীগণ সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৫টায় রইছ আলী ভেরাইটিজ স্টোরে বাদীর স্বামী গৌছ আলীকে প্রাণে মারা উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে তার মাথা কেটে রক্তাক্ত জখম হয় এবং লোহার রড দিয়ে হাতে আঘাত করলে ডান হাতের কবজি ভেঙ্গে যায়। গৌছ আলীর আত্মচিৎকার শোনে তার ছোট ফখরুল ইসলাম এগিয়ে আসলে আসামীগণ হত্যার উদ্দেশ্যে দা দিয়ে তার মাথায় আঘাত করলে মাথা কেটে রক্তাক্ত জখম হয়। আহতদের মৃত্যু নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে আসামগণ লোহার রড দিয়ে এলোপাথারি মারপিট করে। এ সময় বাদী রায়না বেগম স্বামী ও দেবরকে বাঁচাতে চিৎকার করলে আসামীগণ তাকে কিল, ঘুষি ও লাথি মারে এবং শ্লীলতা হানির চেষ্টা করে। এছাড়া জিআই পাইপ দিয়ে মারপিট করলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয়। এ সময় আসামীগণ গৌছ আলী দোকানের ক্যাশ বক্স থেকে নগদ টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এতে প্রায় এক লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
আহতদের আত্মচিৎকার শোনে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে হামলাকারীদের হাত থেকে তাদের উদ্ধার করে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। গুরুতর আহত গৌছ আলী মাথায় ১৩টি সেলাই ও ফখরুল ইসলামের মাথায় ১৫টি সেলাই দেয়া হয়। তাদের শরীরের অসংখ্য নিলাফুলা জখম রয়েছে। বর্তমানে তাদের অবস্থা আশঙ্কজনক।
আলাপকালে দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুল ইসলাম মামলার সততা স্বীকার করে বলেন, আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


 

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট