সীতাকুণ্ডে আবাসিক হোটেলে তরুণীকে গণধর্ষণ : আটক ৭

প্রকাশিত: ১২:০২ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৩, ২০২০

সীতাকুণ্ডে আবাসিক হোটেলে তরুণীকে গণধর্ষণ : আটক ৭

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের একটি আবাসিক হোটেলে এক তরুণীকে গণধর্ষণ করেছে তারই বন্ধুরা। এ বিষয়ে আজ সোমবার রাত ৮টার সময় সীতাকুণ্ড মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে ধর্ষিতা তরুণী।

গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে গতকাল রোববার গভীর রাত পর্যন্ত পৌর সদরের জলসা আবাসিক হোটেলে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় হোটেল ম্যানেজারসহ সাতজনকে আটক করেছে।

আজ সোমবার থানায় মামলা করার সময় ধর্ষণের শিকার তরুণী অজ্ঞান হয়ে পড়লে পুলিশ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মধ্যম ভাটেরখীল গ্রামের কাসেম মিস্ত্রির ছেলে নয়নের (২২) সাথে এক মাস আগে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে পরিচয় হয় মিরসরাই উপজেলার ওই তরুণীর। এরপর থেকে মোবাইল ফোন ও ফেসবুকে নয়নের সাথে তার নিয়মিত যোগাযোগ হতো। নয়ন গত শনিবার বিয়ে করার কথা বলে ওই তরুণীকে সীতাকুণ্ডে ডেকে নিয়ে আসেন। পরে পৌর সদরের জলসা আবাসিক হোটেলের একটি কক্ষে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেন।

এরপর নয়ন তার বন্ধুদের হোটেলে ডেকে নিয়ে আসেন এবং সবাই ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন। শনিবার সন্ধ্যা থেকে রোববার রাত পর্যন্ত চলে এই ঘটনা। পরে সোমবার সকালে ওই তরুণী কৌশলে তাদের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় গিয়ে বিষয়টি জানালে পুলিশ সাথে সাথে হোটেল জলসা ও পৌর সদরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাতজনকে আটক করে।

আটকরা হলেন- উপজেলার ভাটেরখীল গ্রামের মোঃ নুর নবীর ছেলে মোহাম্মদ আলীম হোসেন (২৩), গুলিয়াখালী খালিদ মেম্বারের বাড়ির মোহাম্মদ জামাল উল্লাহ মোহাম্মদ রিফাত (২০), দক্ষিণ ভাটেরখীল গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে মোহাম্মদ ইমন ইসলাম (২১), একই এলাকার নেছার আহমেদের ছেলে রনি (২২), জসিম উদ্দিনের ছেলে বারেক (২০) ও আবুল কাসেম মিস্ত্রির ছেলে নয়ন (২৩) এবং জলসা হোটেলের ম্যানেজার নুর উদ্দিন (৩৫)।

সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বনিক বলেন, ধর্ষণের শিকার তরুণীর সাথে তার স্বামীর ছাড়াছাড়ি হয়েছে মাস খানেক আগে। এক বিয়ের অনুষ্ঠানে তার সাথে নয়নের পরিচয় হয়। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে সীতাকুণ্ডে এনে ধর্ষণ করে নয়ন ও তার বন্ধুরা।


সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট