ধর্ষক ও নারী নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে গণ-প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে : মজিবুর রহমান মঞ্জু

প্রকাশিত: ৪:০৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১২, ২০২০

ধর্ষক ও নারী নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে গণ-প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে : মজিবুর রহমান মঞ্জু

সিলেট সংবাদ ডেস্ক : নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের সাথে যারাই যুক্ত থাকুক, যে রাজনৈতিক পরিচয়ই বহন করুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে পাড়ায় মহল্লায় গণ-প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এদের কে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় এনে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে হবে। গতকাল নয়া পল্টন যাদু মিয়া মিলনায়তনে একটি স্বরন সভায় এবি পাটির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু এই আহ্বান জানান।

দেশে সাম্প্রতিক ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি আরও বলেন ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন যারা করছে তারা ক্ষমতাবান। তারা মনে করছে তারা যা খুশী তা করতে পারে। যত অপরাধই করুক তাদের কোন কিছু হবেনা। অপরাধী চক্রের এই অবৈধ ক্ষমতার বাহাদুরীর বিরুদ্ধে জনতার সম্মিলিত শক্তি ও ক্ষমতা নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলেই এই অনাচার দুর হবে।

স্বরণ সভায় এবি পাটির সদস্য সচিব নির্বাচিত হওয়ায় মজিবুর রহমান মঞ্জু কে জাতীয় জনতা ফোরামের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক, বিএফইউজে-বাংলাদেশ এর সাবেক কাউন্সিলর, ডিইউজে সদস্য, মোহাম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদার। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিশিষ্ট রাজনীতিক, লেখক গবেষক ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, বিশিষ্ট সাংবাদিক, ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পিএইচডি গবেষক এহসানুল হক জসীম, এনডিপির মহাসচিব মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ফোরামের যুগ্ম আহবায়ক মাহি আল ফয়সাল খান, যুগ্ম আহবায়ক সাংবাদিক ও কলামিস্ট জাকির হোসেন, সদস্য মোক্তার হোসেন, সদস্য তরিকুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

সংবর্ধিত অতিথি মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন- প্রায় একমাস আগে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার পূর্ব একলাশপুর গ্রামে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাদের দ্বারা এক নারীকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ভিডিও করার খবর ফেসবুকসহ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে গত রোববার। এ সংবাদে আমরা স্তম্ভিত ও হতাশ। মঞ্জু বলেন আমরা বিবস্ত্র হয়েছি ২০১৮ সালের নির্বাচনেও। সে সময় সূর্বর্ণচরে নারী ধর্ষণের ঘটনার বিচার আজও হয়নি।

দীর্ঘ দিনের বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে এই রাষ্ট্রে ধর্ষণ-শ্লীলতাহানির বিচার হয়না। প্রতিবারই আমরা বিচারের দাবিতে রাস্তায় নামি, তারপর টনক নড়ে। এবার নোয়াখালীর নারী ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ৩২ দিন আগের। এত দিন কিছুই হয়নি জড়িতদের। এমনকি মামলা করতেও সাহস পায়নি নির্যাতিতা নারী বা তার পরিবার। যখনই বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসে তখন প্রতিবাদ শুরু হলো এবং টনক নড়ল।