সিলেট জেলা বিএনপির আহবায়কের বিতর্কিত কর্মকান্ডে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান

প্রকাশিত: ৩:৪০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০

সিলেট জেলা বিএনপির আহবায়কের বিতর্কিত কর্মকান্ডে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান

২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, সোমবার : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সিলেট জেলা শাখার আহবায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল কাইয়ূম চৌধুরী, এডভোকেট আশিক উদ্দিন আহমদ, আব্দুল মান্নান, এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, নাজিম উদ্দিন লস্কর, আহমেদুর রহমান চৌধুরী, ইশতিয়াক সিদ্দিকী, এডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, মাহবুবুল হক চৌধুরী এক যুক্তি বিবৃতিতে সিলেট জেলা আহবায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার কর্তৃক বিগত ১২/০৮/২০ইং তারিখে পুনর্গঠনকৃত যে কমিটি ঘোষণা করেছেন, তা সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক ও সিলেট জেলা বিএনপি’র সম্মেলনকে বানচাল করার সামিল বলে আমরা মনে করি।


বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ঠিক একই কায়দায় সাবেক সভাপতি/ সাবেক সাধারণ সম্পাদকের সাথে ষড়যন্ত্র করে তিনি বিগত ১২/০২/২০২০ইং তারিখে যে কমিটি ঘোষনা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ তা বাতিল করেন। এরপর আমাদের প্রিয় নেতা দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ডাঃ জাহিদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ সাখওয়াত হাসান জীবন এবং সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলনের সমন্বয়ে আমাদের পক্ষ থেকে ১৪টি ইউনিটে আরও ৬ জন সদস্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই মর্মে আমরা ৬ জন করে নামের তালিকা কেন্দ্রীয় নেতা কমিল উদ্দিন মিলনের কাছে জমা দেই। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য অত্যন্ত চরম গ্রুপিংবাজ , জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি / সাধারণ সম্পাদকের স্বার্থ হাসিলকারী এই আহবায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে আবারও না জানিয়ে আমাদের লিস্ট থেকে না নিয়ে সাবেক সভাপতি/ সাবেক সাধারণ সম্পাদকের মন মত সদস্যদের দিয়ে আবারও কমিটি ঘোষণা করেছেন। এমতবস্থায় আমরা ইতিমধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সহ সকল সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে অবহিত করেছি।


বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি তিনি বিভিন্ন উপজেলার কমিটি গঠন নিয়ে একতরফা নির্দেশ দিয়ে যাচ্ছেন এবং কিছু কিছু এলাকায় ইতিমধ্যে ইউনিয়ন কমিটিও ঘরে বসে করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আমরা পরিষ্কার ভাষায় বিভিন্ন উপজেলার আহবায়কদের কাছে আমাদের আবেদন, দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে তৃণমূলে যে শক্তিশালী নেতৃত্ব গড়ার যে প্রক্রিয়া চলছে, জেলা আহবায়কের নির্দেশে যাতে কোন মতেই ইউনিয়নগুলোর কোন পকেট কমিটি গঠিত না হয়। তা না হলে এর দায় দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সকলকেই নিতে হবে। আমরা বিভিন্ন উপজেলার নেতৃবৃন্দকে সুস্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই, নৈতিক স্খলনে অভিযুক্ত, গ্রুপিংবাজ এই আহবায়কের ষড়যন্ত্রে না পড়ে কেন্দ্রীয় কোন নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত কোন ইউনিয়ন কমিটি করা থেকে বিরত থাকার আহবান জানাচ্ছি। -বিজ্ঞপ্তি


সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট