মানুষের মনে গেঁথে যাওয়া নাম মিনিস্টার মৌলভী আবদুর রশীদ চৌধুরী

প্রকাশিত: ৪:৫০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২০

মানুষের মনে গেঁথে যাওয়া নাম মিনিস্টার মৌলভী আবদুর রশীদ চৌধুরী

আজহার মোস্তফা চৌধুরী : অবিভক্ত বাঙলার আসাম প্রদেশের তৎকালীন শিক্ষা ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী মরহুম মৌলভী আব্দুর রশীদ সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার এক অনন্য সাধারণ মানুষ ছিলেন, স্থানীয়ভাবে মিনিস্টার সাব খ্যাত মৌলভি আব্দুর রশিদ চৌধুরী। যিনি ১৮৯৬ সালে গোলাপগঞ্জের লক্ষীপাশা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। উনার অবদান এখনও এলাকা জুড়ে, ঢাকাদক্ষিণ-মোগলাবাজার সড়ক, লক্ষীপাশা হাই স্কুল’সহ অনেক স্কুল-মসজিদ প্রতিষ্ঠা যার হাত ধরে তিনিই মরহুম আব্দুর রশিদ। মরহুম মিনিস্টার সাহেব জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত মানবতার কল্যাণে কাজ করে গেছেন। ১৯৪৭ সালে তিনি আসাম প্রদেশের শিক্ষামন্ত্রণালয় ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর আজ ৫৮ বছর।


জীবনের সবটুকু সময় যিনি দেশ এবং দশের জন্য বিলিয়ে দিয়েছেন। নিজের স্বার্থের পরিবর্তে সমাজের স্বার্থেই সবটুকু করেছেন। মহান এই ব্যক্তির শিক্ষাজীবন শুরু হয় গোলাপগঞ্জের ফুলবাড়ি মাদ্রাসায়। ছাত্র অবস্থায় দেশের বিভিন্ন আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। কলকাতা মাদ্রাসার ছাত্র থাকাকালে তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হোন। ১৯২২ সালে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে গ্রেপ্তার হন। ১৯৩৫ সালে অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস তাঁকে আসাম প্রদেশে মনোনয়ন দেয়। নির্বাচনে অংশ নিলেও তিনি আবদুল মতিন কলা মিয়ার কাছে হেরে যান। ১৯৪৫ সালের নির্বাচনে তিনি বিপুল ব্যবধানে জয়ী হন, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন সখাতুল আম্বিয়া। ১৯৪৭ সালে প্রথমে তিনি আসাম প্রদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পরবর্তীতে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। তিনি ১৯৩৫ সালে আল্লামা হুসাইন আহমদ মাদানী(রহঃ)র নেতৃত্বে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ এ যোগ দেন। দেশ ভাগ হলে ১৯৪৭ সালে মুসলিম লীগে যোগ দান করেন। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নুরুল আমিনের মাধ্যমে ঢাকা দক্ষিণ-মোগলাবাজার সড়ক প্রতিষ্ঠা করেন। এ ছাড়া সিলেট টেকনিক্যাল কলেজ, কাজী জালাল উদ্দিন গার্লস স্কুল, লক্ষ্মীপাশা মুরাদিয়া এম ই মাদ্রাসা, জুনিয়র স্কুল, হাইস্কুল’সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।


মরহুম আবদুর রশীদ চৌধুরী ১৮৯৬ সালে গোলাপগঞ্জ থানার লক্ষ্মীপাশা গ্রামে জন্ম নেন। তিনি ফুলবাড়ি মাদ্রাসায় শিক্ষাজীবন শুরু করেন। ছাত্র থাকাকালে দেশের বিভিন্ন আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। কলকাতা মাদ্রাসায় থাকাকালে তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হোন। ১৯২২ সালে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে গ্রেপ্তার হন। ১৯৩৫ সালে অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস তাঁকে আসাম প্রদেশে মনোনয়ন দেয়। নির্বাচনে অংশ নিলেও তিনি আবদুল মতিন কালা মিয়ার কাছে হেরে যান। ১৯৪৫ সালে তিনি জয়ী হন, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সখাতুল আম্বিয়া। ১৯৪৭ সালে তিনি আসাম প্রদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। তিনি ১৯৩৫ সালে আল্লামা হুসাইন আহমদ মাদানীর নেতৃত্বে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দে যোগ দেন। দেশ ভাগ হলে ১৯৪৭ সালে মুসলিম লীগে যোগ দেন। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নুরুল আমিনের মাধ্যমে ঢাকা দক্ষিণ-মোগলাবাজার সড়ক প্রতিষ্ঠা করেন। এ ছাড়া সিলেট টেকনিক্যাল কলেজ, কাজীটুলা গার্লস স্কুল, লক্ষ্মীপাশা মুরাদিয়া এম ই মাদ্রাসা, জুনিয়র স্কুল, হাইস্কুলসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। নিবেদিতপ্রাণ এই রাজনীতিক ১৯৬২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর মারা যান।


সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট