বড়শলা মসজিদ ও এলাকাবাসির সম্মান বাচাঁতে এসএমপিতে গ্রামবাসির অভিযোগ

প্রকাশিত: ১২:৪০ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২০

বড়শলা মসজিদ ও এলাকাবাসির সম্মান বাচাঁতে এসএমপিতে গ্রামবাসির অভিযোগ

সিলেটের বড়শলা জামে মসজিদ ও এলাকাবাসির সম্মান বাচাঁতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ উত্তর) বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন গ্রামবাসি। মঙ্গলবার (১ সেপ্টম্বর) স্মারক নং- এডিসি ( ক্রাইম-নর্থ)/১২৮ এর পরিপ্রেক্ষিতে এ লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন বড়শলা জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি শফি আহমদ, সেক্রেটারি আজাদ আহমদ ছাদ, ব্যবসায়ি জাকির আহমদ চৌধুরী সহ মসজিদ কমিটির সদস্যবৃন্দ।

অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, বড়শলা গ্রামের ফয়জুল হক বতুশা তার নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘ ১৮ বছর বড়শলা মসজিদের স্বঘোষিত কোষাধক্ষ্য ও সেক্রেটারি পদ ধরে রাখেন। ফলে মসজিদের ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ, দূর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগে গত বছরের ১৭ নভেম্বর ৬১ নম্বর স্মারকে সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবরে এলাকাবাসী অভিযোগ দাখিল করেন। এসময় গ্রামবাসীর অনুরোধে ও বতুশা’র নিজ হাতের লিখিত রেজুলেশনে মসজিদের হিসেব চাওয়ার দায়িত্ব দেয়া হয় জাকির আহমদ চৌধুরীকে। মসজিদের হিসেব দিতে ব্যর্থ হয়ে ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর রাত প্রায় ১১ টায় সন্ত্রাসীদের নিয়ে চৌকিদেখির বিলাস কমিউনিটি সেন্টারের সামনে জাকিরকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়। পরে ওই এলাকার কাউন্সিলর অফিসের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দ্রুত বিচার আইনে বতুশা সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এরপর থেকে বেপরোয়া হয়ে উঠেন বতুশা ও তার ছেলে রাফি, ভাগনা পারভেজ, ভাগ্নি ইমা ও ভাগ্নি জামাই জুহা এবং বতুশার আপন ভাই বেলাল ও আপন মামা নুর।

গ্রামবাসীকে ঘায়েল করতে বতুশা সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে শুরু করেন একের পর এক অন্যায়, অনৈতিক ও সন্ত্রাসী মূলক কর্মকান্ড। এর ফল স্বরূপ ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি বতুশার আপন ভাগ্নি জামাই শাহাদাতুজ্জামান জোহা সন্ত্রাসী হামলার নাটক সাজিয়ে মিথ্যা মামলা করেন এলাকাবাসির বিরুদ্ধে। বড়শলা মসজিদ কমিটির বর্তমান সকল সদস্যবৃন্দ এবং নিরীহ গ্রামবাসীর নামে মিথ্যা-বানোয়াট কল্প কাহিনী সাজিয়ে বতুশা ও তার আত্মীয় এবং বাহিনীর লোকদের দ্বারা নানা ধরণের মিথ্যা মামলা করতে মরিয়া হয়ে উঠেন। যার ফলে মসজিদ কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তদের নামে ও ব্যবসায়ি জাকিরের বিরূদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা বর্ণনায় বিভিন্ন দপ্তরে বতুশা বাহিনী নানা ধরণের অসত্য তথ্য প্রদান করে লিখিত অভিযোগ দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ান। অথচ বড়শালা গ্রামের একটি আর্দশবান, ধর্ণাঢ্য, পরপোকারি এবং সম্ভ্রান্ত পরিবার হলো মৃত আব্দুল হাফিজ চৌধুরীর পরিবার। সেই পরিবারের ছেলে জাকির আহমদ চৌধুরীর পরিচালিত ক্রিসেন্ট ব্লাড ব্যাংক দীর্ঘদিন থেকে সরকারি বিধি নিষেধ মেনে সুনামের সাথে পরিচালনা করছে। তাদের পরিবারে সবাই স্ব-স্ব- ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্টিত। ওই পরিবারের কোন ব্যক্তি দেশদ্রোহী কোন কর্মকান্ড বা রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত নয়। যা যাচাই-বাছাই করলেই প্রমাণিত হবে। ওই পরিবারে সদস্যদের সামাজিক অবস্থান এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের অবদান দেখে বতুশা ও তার স্বজনরা সহ্য করতে না পেরে এবং মসজিদের ফান্ডের হিসেব না দিয়ে নিরিহ এলাকাবাসিকে সামাজিকভাবে হেনস্থা করার উদ্দেশ্যে বতুশা ও তার স্বজনরা কিছু অসাধু ব্যাক্তির যোগসাজসে বিভিন্নভাবে কল্প-কাহিনী সাজিয়ে কুৎসা রটনা ও অপপ্রচার চালাচ্ছে। যাতে জাকির চৌধুরীর পরিবার ও এলাকাবাসি সামাজিক, মানসিক, ব্যবসায়িক ও আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। তাই বতুশাসহ এই কুচক্রি মহলের নানা ধরণের অপরাধ সাম্রাজ্য’র বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা এবং সম্মানিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনাকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিনীত অনুরোধ জানানো হয় ।
এদিকে গত ২৫ জুলাই সিলেটের বিমানবন্দর এলাকার আলীবাগ গ্রামের মো. শাহদাতুজ্জামান প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরে জাকির আহমদ চৌধুরীর ও তার পরিবার এবং ব্যবসা প্রতিষ্টানসহ মসজিদ কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (নং-৪৯১২) দেয়ার পর থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে। এ নিয়ে বড়শলা এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি


সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট