৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:২০ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৩, ২০২০
সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সিলেট নগরে ঢুকতে শুরু করেছে। বৃষ্টির পানি ড্রেন দিয়ে নদীতে না নামায় সিলেট নগরের অন্তত অর্ধশতাধিক এলাকার রাস্তা ও বাসাবাড়িতে পানি ঢুকেছে। দিনভর বৃষ্টি ও বন্যার পানি বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নগরবাসী। পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির কারণে সিলেটের অন্তত পাঁচ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
কানাইঘাট ও সিলেট নগর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রোববার (১২ জুলাই) সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৯৫ সেন্টিমিটার এবং সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সময়ে ফেঞ্চুগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার এবং শেওলা ও আমলসিদ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৯৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়ায় সিলেটের গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও সিলেট সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ কারণে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন পানিবন্দি মানুষ।
এরই মধ্যে গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলা সদরের রাস্তায় নৌকা চলাচল করছে। বন্ধ হয়ে গেছে উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ। বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে এসব উপজেলায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেট নগরের ঘাসিটুলা, মজুমদারপাড়া, তালতলা, ছড়ারপাড়, মাছিমপুর, শেখঘাট, কাজিরবাজার, জল্লারপার, পুরানলেন, মদিনা মার্কেট, আখালিয়া, নয়াবাজার, শিবগঞ্জ, মিরাবাজার ও তেরতন, সাদিপুর, শাহজালাল উপশহরের বিভিন্ন স্থানসহ নগরের প্রায় অর্ধশতাধিক এলাকার বাসাবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং সড়কে উঠেছে পানি। বাসাবাড়িতে পানি ঢোকায় রান্নাবান্নাসহ দৈনন্দিন কাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কোনো কোনো বাসাবাড়িতে এক থেকে দুই ফুট পর্যন্ত পানি রয়েছে। খাটের নিচে ইট দিয়ে খাট উঁচু করে এর উপরে সন্তানদের নিয়ে দিন কাটছে অনেক মা-বাবার। পানির সঙ্গে ড্রেনের দূষিত পানি ঘরে ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকছে। ফলে রোগ-জীবাণু ছড়ানোর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান বলেন, নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে যতটুকুট করা দরকার ততটুকু করেছে সিসিক। এখন পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ যদি সুরমা নদী খনন না করেন তবে প্রতি বছরই এ সমস্যা দেখা দেবে, এর সমাধান হবে না। নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুজ্জামান সরকার বলেন, এটা ঠিক যে- সুরমা নদী খনন হলে হয়তো পানি নগরে মানুষের বাসাবাড়িতে ঢুকবে না। তবে এটি বড় প্রকল্প। নদী খননের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে তা সম্পন্ন করতে দেরি হচ্ছে।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D