এবার স্বাস্থ্য খাত নিয়ে মুখ খুললেন এমপি একরাম

প্রকাশিত: ৬:৪৭ অপরাহ্ণ, জুন ২২, ২০২০

এবার স্বাস্থ্য খাত নিয়ে মুখ খুললেন এমপি একরাম

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘মিঠু সিন্ডিকেটের’ বিরুদ্ধে এবার মুখ খুলেছেন নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী। তিনি এই সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

একইসঙ্গে তিনি এবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ‘মহাআজগুবি’ বিভাগ বলে মন্তব্য করেছেন। কয়েকদিন আগে তিনি বলেছিলেন, এটা ‘আজগুবি’ বিভাগ।

সোমবার (২২ জুন) এক ফেসবুক লাইভে তিনি এ কথা বলেন। সেই ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে।

স্বাস্থ্য খাতের ‘মাফিয়া ডন’ বলে খ্যাত ঠিকাদার মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু দীর্ঘদিন ধরে রাজত্ব করে আসছেন। এই করোনাকালেও তার দৌরাত্ম্য থেমে নেই। কিন্তু তিন বরাবরই থেকে যাচ্ছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

এক অদৃশ্য শক্তির ইশারায় তার লাগামহীন দুর্নীতি ও জালিয়াতির তদন্ত মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। চার বছর ধরে এ বিষয়ে টু-শব্দটি নেই। এমনকি দুদকের সুপারিশে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ ঘোষিত ‘কালো তালিকাভুক্ত ১৪ ঠিকাদারের’ মধ্যেও তার নাম নেই। চুনোপুঁটিদের ‘কালো তালিকায়’ রেখে কার ছত্রছায়ায় বারবার বেঁচে যাচ্ছেন মিঠু তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সর্বমহলে।

ফেসবুক লাইভে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, কিটের অভাবে আজকে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এবং ফেনী- এই তিন জেলার করোনা পরীক্ষা বন্ধ। যার কারণে মানুষের মধ্যে হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে। দুই/তিন দিন আগে আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ‘আজগুবি’ বিভাগ বলেছিলাম। কিন্তু এটা আজগুবি নয়, এটা ‘মহাআজগুবি’ বিভাগ।

আমাকে একজন বললেন- আজকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজেই নাকি বলেছেন কিটের অভাব। কিন্তু জানামতে বাংলাদেশের তিনটা চারটা ব্যবসায়ী কোম্পানি প্রায় ১০ লাখ কিট এনে রেখেছে। কিন্তু তারা দিতে পারছে না মিঠু সিন্ডিকেটের কারণে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘মিঠু সিন্ডিকেট’ যতক্ষণ পর্যন্ত ভাঙা না যাবে, ততক্ষণ এই মন্ত্রণালয় কখনো ভালো থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলবো, তিন দিনে যেভাবে ক্যাসিনোকে ধ্বংস করে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে গেছেন, স্বাস্থ্যসেবার একজন কর্মী ও বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে অনুরোধ করবো, আপনি এই সিন্ডিকেটটা সেভাবে ভাঙার ব্যবস্থা করুন। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে পারলে দেশের মানুষ অনেক সুফল পাবে। এই মিঠু গ্যাংরা গোটা স্বাস্থ্য বিভাগকে কাবু করে রেখেছে।

একরামুল করিম বলেন, প্রাণের স্পন্দন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আমার মাথার মুকুট আওয়ামী লীগসহ প্রত্যেকটি সংগঠন থেকে নেতাকর্মী নিয়ে নোয়াখালীর ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে করোনাবিরোধী সংগ্রাম কমিটি গঠন করুন। প্রয়োজনে বিরোধী দলের কেউ যদি আসতে চায় তাদেরকে কমিটিতে নেন এবং যে বাড়িতে করোনা আক্রান্ত আছে সেই বাড়িতে লাল পতাকা এবং সাইনবোর্ড টানিয়ে দিন।

এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবারও এই সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার অনুরোধ জানান।


সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট