১৪ই এপ্রিল, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ১লা বৈশাখ, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:২০ অপরাহ্ণ, জুন ৩, ২০২০
অক্সিজেন ছাড়াই ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে এক করোনা রোগীর বিল করা হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ৮৭৫ টাকা। শেষ পর্যন্ত ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন কভিড-১৯ থেকে সেরে ওঠা সাইফুর রহমান।
মঙ্গলবার বিকেলে চিকিৎসকের ছাড়পত্র মিললেও বিলের জন্য হাসপাতাল সাইফুরকে ছাড়ছিল না।
জানা গেছে, করোনা আক্রান্ত হয়ে ২৩ মার্চ আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা ৩৬ বছর বয়সী সাইফুর। সেরে ওঠার পর ২ জুন ছাড়পত্র দেওয়ার সময় ১ লাখ ৭০ হাজার ৮৭৫ টাকার বিল ধরিয়ে দেওয়া হয় তাকে।
সাইফুরের ছোট ভাই আরিফুর রহমান বলেন, বহু কষ্টে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জোগাড় করে মঙ্গলবার মধ্যরাতে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তারা।
কভিড-১৯ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে সরকার কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালেও রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়। এজন্য মে মাস থেকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল ‘কভিড-১৯ ডেডিকেটেড’ হাসপাতাল হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে।
বেসরকারি এক কোম্পানিতে কর্মরত সাইফুর বলেন, ‘ডেডিকেটেড’ হাসপাতালে কভিড-১৯ চিকিৎসার খরচ সরকার দিচ্ছে, এটা জেনেই আনোয়ার খান মডার্নে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মঙ্গলবার যে বিল তাকে দেওয়া হয়, তা ছিল তার সাধ্যের বাইরে।
তিনি জানান, ভর্তি হওয়ার পর থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত তার রক্তের দুটি পরীক্ষা এবং তিনটি এক্সরে হয়েছে। আর হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করেছে শুধু নাপা ট্যাবলেট।
সাইফুর বলেন, ‘আমার কোনো অক্সিজেনেরও প্রয়োজন হয়নি…. কিন্তু এত টাকা বিল করে দিয়েছে।’
বিলের কপিতে, ২ জুন পর্যন্ত চিকিৎসকের বিল বাবদ ১৮ হাজার ৭০০ টাকা, হাসপাতালের বিল ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৭০ টাকা, পরীক্ষার বিল ১৯ হাজার ৪৭৫ টাকা, ওষুধের বিল ৫ হাজার টাকা এবং ১২ হাজার ৯০৩ টাকা সার্ভিস চার্জ উল্লেখ করা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান খান বলেন, ‘এখানে রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলো কমপ্লিটলি ফ্রি। যখনই হাসপাতালটা সরকার নিল, তখন তো আনোয়ার খানকে টাকাটা সরকার দেবে।’
তিনি বলেন, ‘৩১ মে পর্যন্ত কোনো বিল নেওয়া চলবে না। বিল ধরলে ১ জুন থেকে বিল নেবে। এই কয়দিন তারা সরকারি হিসাবে চলেছে।’
আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক এহতেশামুল হক বলেন, মে মাসেই সরকারের সঙ্গে তাদের চুক্তি শেষ হয়ে গেছে। ওই রোগীর ৩১ মে পর্যন্ত চিকিৎসার কোনো টাকা নেব না। যদি নেওয়া হয়ে থাকে, তা ফেরত দেওয়া হবে।
EDITOR & PABLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Executive Editor : M A Malek
UK Correspondent : Moheuddin Alamgir USA Correspondent : Abul Kashem Murshed
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01711912127
Design and developed by M-W-D