১৪ই এপ্রিল, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ১লা বৈশাখ, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:২৯ অপরাহ্ণ, জুন ২, ২০২০
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধ রাখা হতে পারে। আগামী দু-একদিনের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও আংশিকভাবে খুলে দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে— এমন তথ্য পাওয়া গেলেও সে চিন্তা থেকে সরে এসেছে অধিদপ্তর। বিদ্যালয়ের রক্ষণাবেক্ষণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, প্রশাসনিক কাজের জন্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা হবে না, বরং করোনার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য এগুলো বন্ধ রাখা হবে।
অন্যদিকে গতকাল সোমবার (১ জুন) ছাত্রভর্তি, বিজ্ঞানাগার, পাঠাগার, যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মতো প্রশাসনিক কাজে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অফিস সীমিত আকারে খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে অসুস্থ ও গর্ভবতী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
শিক্ষক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনও জানা গেছে, মাঠপর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে অনেক শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এমন অবস্থায় প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই পরীক্ষা দেবে— এমন চিন্তাও সরকারের রয়েছে।
বর্তমান করোনা-পরিস্থিতির মধ্যে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নানাভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। টেলিভিশনে পাঠদান সম্প্রচার নিয়ে প্রতিদিন শিক্ষকদের মনিটরিং করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ কারণে নতুন কোনো কাজে শিক্ষকদের যুক্ত করতে রাজি নয় প্রাথমিক শিক্ষার নীতিনির্ধারকরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিপিই’র মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বলেন, ‘মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মতো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দাপ্তরিক গুরুত্বপূর্ণ তেমন কোনো কাজ থাকে না। প্রতিষ্ঠান খোলার প্রয়োজনও পড়ছে না। আংশিক খোলার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হলেও তা বাতিল করা হয়েছে। করোনার এমন পরিস্থিতির মধ্যে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মাঠে থেকে প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মনিটরিং করছেন, তাই নতুন করে শিক্ষকদের কোনো দায়িত্ব দেওয়া হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইদ-উল-ফিতরের জন্য আগামী ৬ জুন পর্যন্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছুটি রয়েছে। অন্যদিকে সরকারিভাবে ১৫ জুন পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হয়েছে। তবে ১৫ জুনের মধ্যে করোনা মহামারি স্বাভাবিক হওয়ার কোনো নমুনা পাওয়া যাচ্ছে না। তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যালয়ও খোলা হবে না। এজন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য বিদ্যালয় বন্ধ রাখার চিন্তা-ভাবনা চলছে।’
বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যে ছুটি বৃদ্ধি করে নতুন নির্দেশনা জারি করা হবে। সেখানে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার জন্য বলা হতে পারে বলেও জানান তিনি।
মহাপরিচালক বলেন, ‘প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের নিয়মিত সংসদ টেলিভিশনে শ্রেণিপাঠ সম্প্রচার করা হচ্ছে। সেখানে প্রতিদিন শিক্ষকরা বাসার কাজ দিচ্ছেন। বাসায় বসে অভিভাবকদের সহায়তায় সাময়িক পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। তাই করোনার পরিস্থিতির কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের ওপর তার প্রভাব পড়বে না।
জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, ‘আমাদের মূল কাজ বাচ্চাদের পড়াশোনা করানো। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় বাচ্চাদের পড়ানোর জন্য প্রতিষ্ঠান খোলার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।’
তবে উপবৃত্তির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্বাভাবিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে চলছে। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি এবং কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে সেটিও জানা যাচ্ছে না। তাই আমরা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। এ বিষয়ে অধিদপ্তর সিদ্ধান্ত নেবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
EDITOR & PABLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Executive Editor : M A Malek
UK Correspondent : Moheuddin Alamgir USA Correspondent : Abul Kashem Murshed
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01711912127
Design and developed by M-W-D