১৪ই এপ্রিল, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ১লা বৈশাখ, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:২২ অপরাহ্ণ, মে ৩০, ২০২০
করোনাভাইরাস মহামারির পর বিশ্ব ব্যবস্থার সবকিছুতেই পরিবর্তন আসবে। আর এই পরিবর্তনে বাংলাদেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক দিকও যুক্ত থাকবে। এই পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে সত্যিকার অর্থে দেশে গণতন্ত্র আসে, সে চেষ্টা করতে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা।
শনিবার (৩০ মে) বিকালে দলের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় নেতারা এসব কথা বলেন। ওই ভার্চুয়াল আলোচনা সভা আয়োজন করে ‘বিএনপি কমিউনিকেশন’।
প্রথমবারের মতো সিনিয়র নেতাদের সমন্বিত এ আলোচনা সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঞ্চালনায় স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্য অংশগ্রহণ করেন। আলোচকরা জিয়াউর রহমানের নানাবিধ বিষয় নিয়ে কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে শুরু করে তার রাষ্ট্রপরিচালনার বিষয়গুলোও তুলে আনেন তারা। একইসঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দুই বছর কারাবন্দি থাকা ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রসঙ্গও একাধিকবার আলোচকদের মুখে উঠে আসে। নেতারা জানান, গুলশানে ‘ফিরোজা‘য় দলের চেয়ারপারসন অসুস্থ খালেদা জিয়া ও লন্ডন থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইন্টারনেটে এই ভার্চুয়াল আলোচনাসভা শুনেছেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ১৯৭৫ সালে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরে জিয়াউর রহমানকে সিপাহী জনতা রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব না দিলে, তিনি প্রজ্ঞার সঙ্গে নেতৃত্ব না নিলে সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতো। তিনি সম্পূর্ণ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির মধ্য থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করেছেন। তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে জিয়াউর রহমান তার যোগ্যতা, মেধা, যোগ্যতা নিয়ে বাংলাদেশকে সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিলেন।
চলমান করোনা মহামারিতে ভার্চুয়াল রাজনৈতিক অ্যাক্টিভিটি প্রবীণ রাজনীতিকদের কাছে নতুন বলে মন্তব্য করেন ফখরুল। তিনি বলেন, এসব আলোচনা সভা আমাদের জন্য নতুন, রাজনীতিবিদদের কাছে নতুন। যুগের পরিবর্তন হয়, সবাই মিলে পরিবর্তনকে সামনের দিকে নিয়ে যাই। আমাদের দলীয়প্রধান দেশনেত্রী পরিপূর্ণভাবে মুক্তি পাক, সেই কামনা করি।
দেশে সবচাইতে বড় সংকট গণতন্ত্রের সংকট উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই, এ কারণে সামাজিক, অর্থনৈতিকসহ সর্বক্ষেত্রে একনায়কতন্ত্রের সৃষ্টি হয়েছে। এর থেকে বের হতে হলে গণতন্ত্রের বিকল্প নেই। করোনাভাইরাসের মতো মহামারির পর রাজনৈতিক, সামাজিক ও বিশ্বব্যবস্থায় পরিবর্তন আসে। এই পরিবর্তন যেন সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্র নিয়ে আসে। যে জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছে দেশের মানুষ।
বিএনপির নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছে সাবেক এই স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির ওপর হেন নির্যাতন বাদ যায়নি। তারপরও টিকে আছি—কারণ জিয়ার আদর্শ। এরশাদের সময়, ওয়ান-ইলেভেনের সময় এবং এখনও ক্ষমতাসীনরা চেষ্টা করছে, কিন্তু কোনও কাজ হবে না। হতাশ না হয়ে, নিষ্ক্রিয়তা ছেড়ে, ভয়ভীতিকে পাশে ঠেলে গর্জে উঠতে হবে।
বিতর্ক সৃষ্টি করে জিয়াউর রহমানকে খাটো করা যাবে না, বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেছেন, এতে বিতর্ক করার কিছু নেই, এতে বিতর্ক করে জিয়াউর রহমানকে খাটো করা সম্ভব নয়। তিনি প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা করেন, এরপর আবারও আওয়ামী লীগের চাপে দ্বিতীয়বার ঘোষণা করেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ তো কখনও এটা বলেনি, এ ব্যাপারে কোনও কথা তারা বলে না। সত্যি এটাই, স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান।
মওদুদ আহমদ বলেন, বিএনপি রাজনৈতিকভাবে টিকে থাকার কারণই হচ্ছে জিয়াউর রহমান। গত ১০ বছরে বিএনপির ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন হয়েছে। ম্যাডামকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় অফিস বন্ধ রাখা হয়েছে দিনের পর দিন। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৭৮ হাজার মামলা হয়েছে। ২৬ লাখ নেতাকর্মী মামলা-মোকদ্দমার পরও টিকে আছে-কারণ শহীদ জিয়ার রাজনীতির জন্য।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, জিয়াউর রহমান অত্যন্ত সৎ মানুষ ছিলেন। আমরা সংকটকাল অতিক্রম করছি।’ তিনি খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করেন। তিনি আশা করেন, সামনের দিনগুলো আরও উজ্জ্বল হোক।
আলোচনায় সভায় যুক্ত ছিলেন অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ। তিনি বলেন, মহামারির পর আগের মতো কিছু থাকবে না। আমরা যদি জিয়াউর রহমানকে ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি—তাহলে এই পৃথিবীতে গ্লোবাল অর্ডারকে কিভাবে নতুন করে সাজানো যায়, সেই পরিকল্পনা করি তাহলেই তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে।
আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
EDITOR & PABLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Executive Editor : M A Malek
UK Correspondent : Moheuddin Alamgir USA Correspondent : Abul Kashem Murshed
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01711912127
Design and developed by M-W-D