২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:০৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩১, ২০২০
করোনাভাইরাস প্রতিরোধের লক্ষ্যে চলমান কার্যক্রম সমন্বয় করতে আয়োজিত ভিডিও কনফারেন্সে দেশে করোনা পরিস্থিতিতে ছুটি বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেক্ষেত্রে আগামী ৯ তারিখ পর্যন্ত ছুটি বাড়বে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) ৬৪টি জেলার সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে সকাল ১০টায় এ ভিডিও কনফারেন্স শুরু হয়।
কোয়ারেন্টাইনের সময় কত তারিখ পর্যন্ত হবে- এ সময় জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। তখন পাশে থেকে কোনো কর্মকর্তা জানান ৯ এপ্রিল পর্যন্ত। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৯ তারিখ পর্যন্ত…এই ছুটিটা সীমিত আকারে আমাদের বাড়াতে হবে। সেটা বাড়ানোর সাথে সাথে আমাদের সীমিত আকারে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে।’
সারাদেশে বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর ১৩ দিন পর পহেলা বৈশাখ। তাই দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এমন সিদ্ধান্ত দেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছুটি ঘোষণার কারণে দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষের সমস্যা হচ্ছে। কৃষক, চা শ্রমিক, হিজড়া, বেদে সম্প্রদায়ের মানুষ বেশি কষ্ট পাচ্ছে। তারা দৈনন্দিন কাজে যেতে পারছে না। তাদের বাঁচিয়ে রাখা আমাদের সামাজিক কর্তব্য। সেখানে ১০ টাকা কেজি চালসহ নানা সহযোগিতা করা হয়েছে। তাদের কাছে সাহায্য ও খাদ্যদ্রব্য পাঠাতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি সবাইকে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। প্রতিটি ওয়ার্ড অনুযায়ী তালিকা করতে হবে। সেই অনুযায়ী সবাই যাতে সাহায্য পায়। কেউ যাতে বাদ না পড়ে।’
সাহায্য পৌঁছে দেওয়ায় কোনও দুর্নীতি হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনও রকম দুর্নীতি হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। দুঃসময়ে কেউ সুযোগ নিলে, কোনও অভিযোগ পেলে আমি কিন্তু তাকে ছাড়বো না।’
প্রধানমন্ত্রী সাহায্য দিতে গিয়ে লোক সমাগম করতে বারণ করেন। দরকার হলে বাড়ির কাছে গিয়ে সাহায্য দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জনগণের নিরাপত্তা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। করোনা পরিস্থিতিতে মুজিববর্ষের সব অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। ৭ মার্চ এবং স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে।’
সবাইকে সতর্ক করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু সমস্যাটা দূর হয়নি। তাই আমাদের সচতেন থাকা দরকার। করোনা দেখা দিলে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি এলাকার মানুষকে সচেতন হতে হবে। তবে জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে গিয়ে যাতে জন সমস্যা সৃষ্টি না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ এবং গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী দেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯ জনে। এর মধ্যে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে আর ১৯ জন সুস্থ হয়েছেন।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D