২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:৪০ অপরাহ্ণ, মার্চ ২২, ২০২০
মহামারি করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) বিশ্বব্যাপী ১৩ হাজারের অধিক লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রাণঘাতী ভাইরাসটির আতঙ্কে লন্ডনে অবস্থানরত প্রবাসীদের পরিবারগুলো যখন দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে, ঠিক তখনই কিছু সংখ্যক অসাধু বাংলাদেশি দোকান মালিকরা চাল, ডাল, তেল, ডিম, মাছ, মুরগি, ভেড়া ও গরুর মাংস এবং বাংলাদেশি শাক-সবজির মূল্য বৃদ্ধি করে সমালোচনায় এসেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাশাপাশি টিভি এমনকি পত্রিকাতেও তাদের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দার ঝড় উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে এসব বাংলাদেশি দোকান মালিকরা চলমান করোনার আতঙ্ককে কাজে লাগিয়ে অধিক মুনাফার আশায় ক্রেতাদের অতিরিক্ত পণ্য কেনার দোহাই দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণের দাম কয়েকগুণ বৃদ্ধি করেছেন।
ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে জানা যায়, লন্ডনের এই অসাধু ব্যবসায়ীরা ৩ পাউন্ডের একটি মুরগি ২০ পাউন্ডে বিক্রি করেছেন, এতদিন প্রতি কেজি ভেড়ার মাংসের দাম ৬-৭ পাউন্ড থাকলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫ পাউন্ডে। তাছাড়া ২ পাউন্ডের একটি ডিমের দামও রাখা হচ্ছে ৭ পাউন্ড।
যদিও ব্রিটিশ সুপার স্টোরগুলোতে এসব পণ্যের দাম রয়েছে স্বাভাবিক। ফলে প্রতিনিয়তই স্টোরগুলো খোলার আগে ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন পড়ছে। বর্তমানে ক্রেতাদের অতিরিক্ত পরিমাণ পণ্য কেনার চাহিদা থাকলেও ব্রিটিশ সুপার স্টোরগুলো জনপ্রতি নির্দিষ্ট পরিমাণের অধিক পণ্য বিক্রি করছেন না। ফলে অধিকাংশ ক্রেতাই তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলো কেনার জন্য বাধ্য হয়ে সেখানে যাচ্ছেন।
ব্রিটিশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, দেশটিতে প্রাণঘাতী করোনার থাবায় এখন পর্যন্ত ২৩৩ জনের প্রাণহানিসহ আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত পাঁচ হাজার ১৮ জন। এমন প্রেক্ষাপটে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারির কথা ভাবছে সেখানকার সরকার।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, উৎপত্তিস্থল চীনের সীমা অতিক্রম করে এর মধ্যে বিশ্বের অন্তত ১৮৮টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। বিশ্বব্যাপী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩ লাখ ৭ হাজার মানুষ। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যাও এরই মধ্যে ১৩ হাজার ৫০ জনে পৌঁছেছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস মানুষ ও প্রাণীদের ফুসফুসে সংক্রমণ করতে পারে। ভাইরাসজনিত ঠান্ডা বা ফ্লুর মতো হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো- শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি ও নিউমোনিয়া ইত্যাদি। তাছাড়া শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।
বর্তমানে সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো, ভাইরাসটি নতুন হওয়ায় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। ভাইরাসটির সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা। তাই মানুষের শরীরে এমন উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D