কোয়ারিগুলো খুলে দেয়ার দাবিতে কোম্পানীগঞ্জে মন্ত্রী’র গাড়ি আটকে দিলো পাথরশ্রমিকরা

প্রকাশিত: ৪:০৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ১০, ২০২০

কোয়ারিগুলো খুলে দেয়ার দাবিতে কোম্পানীগঞ্জে মন্ত্রী’র গাড়ি আটকে দিলো পাথরশ্রমিকরা

১০ মার্চ ২০২০, মঙ্গলবার : পাথর কোয়ারিগুলো খুলে দেয়ার দাবিতে আজ সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপির গাড়ি আটকে দেয় শ্রমিকরা। এসময় তারা সড়ক অবরোধ করে পাথরকোয়ারি খুলে দেয়ার দাবি জানায় মন্ত্রীর কাছে।

আজ মঙ্গলবার (১০ মার্চ) কোম্পানীগঞ্জে দুপুরে ‘প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থান সুযোগ তৈরির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে যোগদান শেষে আসার জন্য বের হলে কোম্পানীগঞ্জের হাই-টেক পার্কের প্রধান ফটকে মন্ত্রীর গাড়ি আটকায় পাথরশ্রমিকরা।

এসময় মন্ত্রী ইমরান আহমদ গাড়ি থেকে নেমে শ্রমিকদের সান্তনা দেন এবং এ বিষয়ে দ্রুত আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে শ্রমিকদের আশ্বাস প্রদান করেন। মন্ত্রীর আশ্বাসের পর শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়।

উল্লেখ্য, ঘন ঘন শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় আদালতের আদেশে সিলেটের সবগুলো পাথর কোয়ারি (জাফলং, ভোলাগঞ্জ, শাহ আরফিন, শ্রীপুর, বিছনাকান্দি) বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শ্রমিকদের অভিযোগ- কাজ পাচ্ছে না তারা, ব্যবসায়ীরা হারাচ্ছেন  মূলধন।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে রয়েছে ৩টি পাথর কোয়ারি।  ভোলাগঞ্জ, শাহ আরফিন ও উৎমা। সবগুলো পাথর কোয়ারি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।

পুরো বাংলাদেশ এক সময় বিখ্যাত ছিল ভোলাগঞ্জ কোয়ারির পাথর। কিন্তু বিগত প্রায় ৮ বছর থেকে বন্ধ রয়েছে এই কোয়ারি। ভোলাগঞ্জ কোয়ারি বন্ধ হওয়ার আগে প্রতি বছর প্রায় ২ শত গর্ত হতো। আর এক একটি গর্তে কাজ করতেন প্রায় ২’শ থেকে আড়াই শত শ্রমিক। এভাবে প্রতিদিন প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার শ্রমিক কাজ করতে পারতেন শুধু ভোলাগঞ্জ কোয়ারিতে। কিন্তু কয়েক মাসে এসব গর্তে শ্রমিক মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় আদালত কোয়ারিগুলো থেকে মেশিনের মাধ্যমে পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দেন।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট