কোম্পানীগঞ্জের শাহ্ আরফিন টিলা এলাকায় গুঁড়িয়ে দেয়া হলো ৩০০ তাবু

প্রকাশিত: ১:০৪ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২০

কোম্পানীগঞ্জের শাহ্ আরফিন টিলা এলাকায় গুঁড়িয়ে দেয়া হলো ৩০০ তাবু

ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারির পর এবার শাহ্ আরফিন টিলা এলাকায় থাকা প্রায় ৩০০ তাবু গুঁড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। এ তাবুগুলোতে প্রায় পাঁচ সহ¯্রাধিক শ্রমিক থাকতেন।

বৃহস্পতিবার দিনভর কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে শাহ্ আরফিন টিলা এলাকায় বসবাসকারী শ্রমিকদের তাবু গুঁড়িয়ে দেয়।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সজল কুমার কানু এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, শাহ্ আরফিন টিলায় পাথর উত্তোলনে ৫-৬ হাজার শ্রমিক নিয়োজিত। শ্রমিকরা টিলা এলাকার আশপাশে তাবু টানিয়ে থাকতেন। তাবুগুলো গুঁড়িয়ে দিয়ে শ্রমিকদের বের করে দেয়া হয়েছে।

এদিকে, পাথররাজ্য কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন কোয়ারিতে ঝুঁকিপূর্ণ উপায়ে পাথর উত্তোলন ও শ্রমিকের মৃত্যু ঠেকাতে পাথর কোয়ারিতে স্থাপন করা হচ্ছে পুলিশ ফাঁড়ি। প্রাথমিকভাবে শাহ আরেফিন টিলায় পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে সোমবার জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত জানিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন আচার্য। এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে ধ্বংসের হাত থেকে আরেফিন টিলার অবশিষ্টাংশ রক্ষা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) তথ্যমতে, ২০১৭ থেকে ২০ সালের ২ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত ভোলাগঞ্জের পাথর কোয়ারিগুলোতে পাথর উত্তোলনকালে ১২ জন, শাহ আরেফিন টিলায় ২৭ জন ও কালাইরাগে ৪ শ্রমিক মারা যায়। সর্বশেষ ২৮ জানুয়ারি আরেফিন টিলায় তানভির হোসেন নামে এক শ্রমিক মৃত্যুর পর কালাইরাগ কোয়ারিতে রোববার রুবেল মিয়া নামে আরেক শ্রমিক মারা যায়। এ অবস্থায় পাথর কোয়ারি, শ্রমিক ও পরিবেশ রক্ষায় বিকল্প উদ্যোগ নেয় উপজেলা প্রশাসন।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন আচার্য বলেন, ‘উচ্চ আদালত ও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ রয়েছে। তারপরও গর্তের মালিকরা ভিন্ন পন্থায় পাথর উত্তোলন করছে। এ অবস্থায় ফাঁড়ি স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসক এ নিয়ে পুলিশ সুপারের সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ নেবেন। আশা করি, শিগগির পুলিশ ফাঁড়ি হবে।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট