ইজতেমায় জুমার নামাজ আদায়ে লাখো মুসল্লির ঢল

প্রকাশিত: ৭:১৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১০, ২০২০

ইজতেমায় জুমার নামাজ আদায়ে লাখো মুসল্লির ঢল

বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে অংশ নিতে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর তুরাগ তীরে মুসল্লিরা ভিড় করেছেন। কিছুক্ষণ পরই জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এই মুহূর্তে জুমার খুতবা শোনছেন লাখো মুসল্লি।

জুমার নামাজ আদায়ের লক্ষ্যে শুক্রবার ভোর থেকেই ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠে আসতে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মুসল্লিদের ভিড় বাড়ে।

এরই মধ্যে তুরাগ তীরের মূল ইজতেমা মাঠ ছাড়িয়ে আশপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়েছে মুসল্লিরা। ময়দান অভিমুখে হাতে জায়নামাজ ও টুপি মাথায় মুসল্লিদের জনস্রোত দেখা গেছে। মাঠে আজ অনুষ্ঠিত হবে স্মরণকালের বৃহৎ জুমার জামাত। মাঠের বৃহৎ জুমার নামাজের ইমামতি ও জুমাপূর্ব বয়ান করবেন আলমি শুরার সদস্য কাকরাইলের মুরব্বি হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের।

ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার প্রথম পর্বের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।আম বয়ান করেন রায়বেন্ডের মুরব্বি মাওলানা উবাইদুল্লাহ খুরশীদ। এর পর সকাল দশটায় স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটির ছাত্র-শিক্ষক এবং অন্য পেশাজীবীদের উদ্দেশে বিশেষ বয়ান হয়।

ইজতেমার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা জানিয়েছেন, অন্যবারের তুলনায় এবারের ইজতেমায় মুসুল্রীর সংখ্যা বেশি। ইজতেমা মাঠের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে নতুন ১৪টি খিত্তা (নির্ধারিত স্থান) যুক্ত করার মাধ্যমে মাঠের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। আর পুরো ইজতেমাকে ৯১টি খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে। এরপরও জায়গা না পাওয়ায় ময়দানের বাইরে রাস্তায় অবস্থান করছেন মুসল্লিরা।

আর মুসল্লিদের ব্যবহারের জন্য ৩১টি ভবনে আছে ৮ হাজার ৩৩১টি শৌচাগার। ১৭টি গভীর নলকূপ দিয়ে সরবরাহ করা হচ্ছে পানি। তিনটি গ্রিড থেকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে মাঠে। মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ১০টি বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়েছে।

রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।

মুসল্লিদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ময়দানে স্থান সংকুলান না হওয়ায় ২০১১ সাল থেকে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা তিনদিন করে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়।

১৭ জানুয়ারি শুরু হবে সাদ অনুসারীদের ইজতেমা। ১৯ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ২০২০ সালের দুই গ্রুপের দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমা।