গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেয়ার কালো দিন আজ : কামরুল হুদা জায়গীরদার

প্রকাশিত: ৭:৪৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯

গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেয়ার কালো দিন আজ : কামরুল হুদা জায়গীরদার

সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসুচী

সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বর দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির ইতিহাসের এক কলংকময় দিন। গত বছরের এই দিনে রাতের আধাঁরে ব্যালট বাক্স ভরে দিয়ে জাতিকে ধোকা দেয়া হয়েছিল। মানুষের ভোটাধিকার হরণের এমন নগন্য নজির বিশ্ববাসী কখনো দেখেনি। ফ্যাসীবাদী শাসনে বিপন্ন গণতন্ত্রের কফিনে বাকশালীরা শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছিল। ৩০ ডিসেম্বরের ভোট চুরির ঘটনার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম আওয়ামী ফ্যাসীবাদি সরকারের নগ্ন রূপ স্বচক্ষে দেখেছিল। সেদিন কোন ভোটার ভোট কেন্দ্রে যেতে না পারলেও কোথাও কোথাও শতভাগেরও বেশী ভোট কাষ্ট করা হয়েছিল। ৩০ ডিসেম্বরের ভোট ডাকাতির ঘটনার জন্য স্বৈরাচারী আওয়ামী অপশক্তিকে জাতি কোনদিন ক্ষমা করবেনা।
তিনি সোমবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসুচীর অংশ হিসেবে ৩০ ডিসেম্বর কালোব্যাজ ধারণ করে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ কর্মসুচীতে সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। বেলা ১২টায় নগরীর ঐতিহাসিক রেজিষ্ঠারী মাঠে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ কর্মসুচীতে জেলা ও মহানগর বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।
কর্মসুচীতে নেতৃবৃন্দ বলেন, পথের কাটা সরাতেই ষড়যন্ত্রমুলক মামলার ফরমায়েসী রায়ে গণতন্ত্রের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রাখা হয়। দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে বিএনপি ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। কিন্তু সরকার জাতিকে ধোকা দিয়ে প্রশাসনের সহযোগিতায় ২৯ ডিসেম্বর রাতেই ভ্যালট বাক্স ভরে রাখে। এমন ভোট ডাকাতির এ জাতি আগে কখনো দেখেনি। অবিলম্বে এই সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। দেশনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দেয়া ফরমায়েসী সাজা ও মিথ্যা মামলা সমুহ প্রত্যাহার করতে হবে। সকল দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও সুষ্টু নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। অন্যথায় ভোট ডাকাতির অপরাধে আওয়ামীলীগ জাতির আদালতে বিচারের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে।
মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম সিদ্দিকীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ কর্মসুচীতে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, সিলেট মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী, সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আলী আহমদ, মহানগর সহ-সভাপতি এডভোকেট হাবিবুর রহমান হাবিব, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির শাহীন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল মান্নান, মহানগর সহ-সভাপতি কাউন্সিলার ফরহাদ চৌধুরী শামীম, জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অধ্যাপিকা সামিয়া বেগম চৌধুরী, ফখরুল ইসলাম ফারুক, মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, মহানগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, আলী হোসেন বাচ্চু, জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মাজহারুল ইসলাম ডালিম, আব্দুল আহাদ খান জামাল, মাহবুবুল হক চৌধুরী ও আবুল কাশেম, জেলা মৎসজীবী দলের আহ্বায়ক একেএম তারেক কালাম, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক নজিবুর রহমান নজিব, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সুরমান আলী, মহানগর শ্রমিক দলের ইউনুস আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী আহসান ও জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন নাদিম, শ্রমিক দল নেতা ফয়সল আহমদ প্রমূখ। কর্মসুচীর শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মহানগর বিএনপির আপ্যায়ন সম্পাদক আফজাল উদ্দিন।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট