২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:২৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০১৯
স্ত্রী-সন্তানের সাথে দেখা হলো না হবিগঞ্জের আলী মো. ইউসুফের। চট্টগ্রামে তাদের কাছে পৌঁছানোর আগেই ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। এ খবরে এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া। নিহত ইউসুফ হবিগঞ্জের আনোয়ারপুর এলাকার বাসিন্দা মো. হাসান আলীর ছেলে। তার স্ত্রী চিশতিয়া বেগম চট্টগ্রামে স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে চাকরি করেন। ইশা বেগম নামে তাদের দেড় বছর বয়সী একটি সন্তানও রয়েছে।
মঙ্গলবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে সিলেট থেকে ছেড়ে যাওয়া চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীতা এক্সপ্রেসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এখন পর্যন্ত ওই দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭-তে। এ দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ইউসুফও রয়েছেন।
ইউসুফ জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ছিলেন জানিয়ে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রুবেল চৌধুরী জানান, ‘স্ত্রী চট্টগ্রামে চাকরি করার সুবাদে তিনি প্রায়ই সেখানে যাতায়াত করতেন। স্ত্রী-সন্তানকে খুবই ভালোবাসতেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘অত্যন্ত ভালো ছেলে ছিলেন ইউসুফ। তিন ভাই-বোনের মাঝে ইউসুফ তৃতীয়। বাবা ও ভাই না থাকায় তিনিই পরিবারের হাল ধরেছিলেন। লিটল ফ্লাওয়ার কিন্ডার গার্টেন নামে একটি স্কুলের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার একমাত্র ছোট ভাই আমজদ আলী পড়ছেন বিএ। তিনিও একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন।’
নিহত ইউসুফের প্রতিবেশী মো. জয়নাল মিয়া জানান, ‘কয়েক বছর আগে ইউসুফ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কাকাইলছেও গ্রামের চিশতিয়া বেগমকে বিয়ে করেন। প্রায়ই তিনি স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গে দেখা করতে চট্টগ্রামে যাতায়াত করতেন। মঙ্গলবার তিনি উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনযোগে স্ত্রী ও সন্তানকে আনতে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হন। পথে ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা যান ইউসুফ।’
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D