যে কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা

প্রকাশিত: ৫:১১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০১৯

যে কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় যাত্রীবাহী দুই ট্রেনের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১৫ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ভোর ৩টার দিকে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস ট্রেন দুটির মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

তবে কী কারণে এত বড় দুর্ঘটনা? দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে কথা বলা হয় দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেন দুটির যাত্রী, প্রত্যক্ষদর্শী ও মন্দবাগ স্টেশনের মাস্টারে সাথে। তারা বলছেন, তূর্ণার চালক সিগনাল অমান্য করাতেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

এ ব্যাপারে মন্দবাগ স্টেশনের মাস্টার জাকির হোসেন চৌধুরী গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘তূর্ণার চালক তথা লোকো মাস্টারকে ট্রেন থামানোর জন্য আউটার ও হোম দুই স্থানেই লাল বাতি সংকেত দেওয়া হলেও চালক ট্রেন দাঁড় করাননি বলেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।’

তূর্ণার যাত্রী কাজী ফজলে রাব্বী বলেন, ‘ভয়াবহ ঝাঁকুনির পর ট্রেন থেমে যায়। তারপর তিনি নেমে দেখেন ভয়াবহ দৃশ্য।’

কর্মকর্তারা জানান, ট্রেন দুটো দুই দিকে যাচ্ছিল। উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণা নিশীথার মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে চলন্ত অবস্থায়। উদয়নকে লুপ বা সাইড লাইনে যখন পাঠানো হচ্ছিল তখন এর পেছনের তিনটি বগি মূল লাইনে থাকতেই ঢাকাগামী তূর্ণা চলে আসে এবং এ  সংঘর্ষ ঘটে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা বলেন, এ পর্যন্ত ১৫ জন নিহত হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে ৯ জন, কসবা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তিনজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে দুইজন ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়।

কর্মকর্তারা জানান, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বগির নিচে আরও মরদেহ থাকতে পারে। হতাহতদের উদ্ধার কাজ চলছে। অনেকের কাটা হাত-পা উদ্ধার হচ্ছে। এ দৃশ্য অসহনীয়। সম্ভবত একটি শিশু ভেতরে রয়ে গেছে। সকাল সাতটা নাগাদ তাকে জীবিত বা মৃত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।