সিলেট আদালতে পেশাগত দায়িত্বপালন কালে এডভোকেট গিয়াস কর্তৃক সাংবাদিক লাঞ্চিত

প্রকাশিত: ৬:৪৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৬, ২০১৯

সিলেট আদালতে পেশাগত দায়িত্বপালন কালে এডভোকেট গিয়াস কর্তৃক সাংবাদিক লাঞ্চিত

নাম গিয়াস উদ্দিন, পেশায় একজন আইনজীবি, কিন্তু বারং বার তার বিভিন্ন কর্মকান্ডে সিলেট জেলা বারের আইনজীবিরা হচ্ছেন বিব্রান্ত-লজ্জিত।  বৃহস্পতিবার আদালতের ৫নং বারের ভিতরে পেশাগত দায়িত্বপালন কালে তার কাছে লাঞ্চিত হন স্থানীয় এক সাংবাদিক।
জানা যায়, সিলেট আদালত প্রাঙ্গনে ভাসমান হর্কার উচ্ছেদ অভিযান চলে নিয়মিত। মাঝে মধ্যে ডাক-ঢুল পিঠিয়ে আভিযানে নামেন ম্যাজিষ্টেটসহ আইনজীবি সমিতির নেতৃবৃন্দ।  কিন্তু গুটিকয়েক ব্যক্তির জন্য বার-বার উচ্ছেদ অভিযানের পরও আবার হকার্সরা দখল করে নেয় আদালত চত্তরসহ বিভিন্ন বারহলের সামনের পথটুকু।  এখন আদালতের প্রাঙ্গন ছেড়ে উকিলদের বারের ভিতরেও বসছে মাছ-তারকারী হাট।  ক্ষুব্ধ আইনজীবিদের কাছে অভিযোগটি শুনে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আদালতের ৫নং বার হলের ভিতরে মাছ বিক্রির একটি দৃশ্য মুটোফোনে ধারণ করেন দৈনিক ভোরের ডাক এর সিলেট প্রতিনিধি এম.এ. রউফ।  সে বার হলের ভিতরের মাছ বিক্রির ছবি তোলার দৃশ্যটি দেখে ফেলেন   এডভোকেট গিয়াস।   তিনি এতেই তেলে বেগুনে জলে উঠে উত্তেজিত হয়ে বিভিন্ন অশ্লিল ভাষা প্রয়োগ করে সাংবাদিক এম.এ. রউফকে গালিগালাজ করেন।  বিষয়টি দেখে সিনিয়র আইনজীবিরা গিয়াসের উপর ক্ষিপ্ত হলে উত্তেজনা দেখা দেয়।  ঘটনার খবর পেয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিকরা আদালত পাড়ার বার হলের সামনে জড়ো হলে পরে বারের সিনিয়র একাধিক আইনজীবি এগিয়ে এসে গিয়াসের উপযুক্ত বিচার করে দিবেন বলে সাংবাদিক রউফকে আশ্বস্থ্য করেন।  কিন্তু ততক্ষনে গিয়াসের লোকজন সাংবাদিক রউফের হাতের মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।  এ রির্পোট লেখাপর্যন্ত বিষয়টি জেলা বার আইনজীবি সমিতির সিনিয়র সদস্যগণ আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্তোষজনক সমাধানের আশ্বাস দিলে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এদিকে সাংবাদিক এম.এ রউফের পেশাগত কাজে বাধা প্রদানসহ লাঞ্চিত করায় বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিলেট সিটি প্রেসক্লাব ও বিভাগীয় অনলাইন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।  প্রেস-বিজ্ঞপ্তি।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট