প্রধানমন্ত্রীর ৭৩তম জন্মদিন উদযাপিত

প্রকাশিত: ১:৫৯ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯

প্রধানমন্ত্রীর ৭৩তম জন্মদিন উদযাপিত

বাঙালির সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলার বাতিঘর, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে উদযাপিত হয়েছে।

১৯৪৭ সালের এই দিনে তিনি গোপালগঞ্জের মধুমতি নদী বিধৌত টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার জ্যেষ্ঠ কন্যা। বর্তমানে তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) শেখ হাসিনার জন্মদিনটি উৎসবমুখর পরিবেশে পালন করেছে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠন এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে ঢাকাসহ সারাদেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আনন্দ র‌্যালি ও শোভাযাত্রা বের করা হয়। জেলা, মহানগর, উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন পর্যায়েও একই কর্মসূচি পালিত হয়।

দলের ত্রাণও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে সকাল ১০টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন সেমিনার কক্ষে শেখ হাসিনা’র ৭৩তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে বেলা ১১টায় এ উপলক্ষে বিশেষ প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রার্থনা সভায় প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়।

একইভাবে সকাল ১০টায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার ও সকাল ৯ টায় খ্রিস্টান এসোসিয়েশন বাংলাদেশ (সিএবি) ওয়াই.এম.সি. এ চ্যাপেল, ২৯ সেনপাড়া, পর্বতা, মিরপুর-১০এ বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।

শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন উপলক্ষে গৃহিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকেলে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ এক আলোচনা সভার আয়োজন করে।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে সভায় দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এদিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে।

কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আর্ন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জিনাত ইমতিয়াজ আলী, জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বঙ্গবন্ধু পরিষদ এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।

বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. এস এ মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যায়লয়ের উপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদশে অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত, সাংবাদিক অজিত কুমার সরকার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আনন্দ মিছিল করে ছাত্রলীগ। বেলা ১২টার দিকে মধুর ক্যান্টিন থেকে এই আনন্দ মিছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশে মিলিত হয়।

মিছিলে নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখট ভট্টাচার্য।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রবক্তা স্বপ্নদর্শী এই নেত্রী ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব গ্রহনের পর থেকে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে দলকে সুসংগঠিত করেন এবং ১৯৯৬ সালে প্রথম, ২০০৮ সালে দ্বিতীয়, ২০১৪ সালে তৃতীয় এবং ২০১৮ সালে চতুর্থবারের মত নির্বাচনে জয়লাভ করে প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।

নতুন শতাব্দীতে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানো মূলত সেখান থেকেই, যা গত কয়েক বছর ধরেই অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা, কৃষি, বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তিসহ সব সূচকে যেভাবে তিনি অগ্রগতি, সাফল্য আর উন্নয়নের ধারা সৃষ্টি করেছেন; তাতে সহজেই অনুমেয়-আগামীর বাংলাদেশ ২০৪১ সালের আগেই তাঁর নেতৃত্বে উন্নত দেশের সারিতে কাঁধ মেলাতে সক্ষম হবে। বাসস।