২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:১৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৬, ২০১৯
ভারতীয় সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে ভূস্বর্গ খ্যাত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করায় অঞ্চলটিতে ইতোমধ্যে এক থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যা নিয়ে পরবর্তীতে পাক-ভারত মধ্যকার সৃষ্ট উত্তেজনায় এবার পারমাণবিক যুদ্ধের অপচ্ছায়া (ভূত) দেখা দিয়েছে বলে এরই মধ্যে সতর্কতা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাংক স্ট্রাটফর।
পাক গণমাধ্যম ‘দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’ জানায়, রবিবার (২৫ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য টেক্সাসের অস্টিনভিত্তিক ভূ-রাজনৈতিক গোয়েন্দা প্ল্যাটফর্ম স্ট্রাটফর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেখানে বলা হয়, পরমাণু শক্তিধর প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই প্রতিবেশীর মধ্যে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর ইস্যুটি নিয়ে এক ‘পারমাণবিক যুদ্ধের অপচ্ছায়া’ দেখা দিয়েছে। বর্তমানে এই কাশ্মীর ইস্যুই কেবল পারমাণবিক যুদ্ধের স্ফুলিঙ্গ ছড়াতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলমান কাশ্মীর ইস্যুটি কী কেবলই ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’, নাকি তা পাক-ভারত মধ্যকার ‘দ্বিপক্ষীয়’ একটি ইস্যু। এবার তার শ্রেণিবিন্যাস নিয়েও ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে।
মার্কিন থিঙ্ক ট্যাংক তাদের প্রতিবেদনে উভয় পক্ষকে সতর্ক করে বলেছে, অঞ্চলটিকে একটি পারমাণবিক যুদ্ধ থেকে বিরত রাখার একমাত্র উপায় হলো এক্ষেত্রে কাশ্মীরি জনগণ যা চায় তাদের তা দেওয়া।
প্রতিবেদনটির শেষ ধাপে উল্লেখ করা হয়, চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে ভারত শাসিত উপত্যকাটিতে ‘নিউ ইয়র্ক টাইমসে’র সংবাদদাতারা সফর করেন। যেখানে তারা রাজ্যের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগরে এক পশুপালকের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন।
তখন পশুপালকটিকে প্রশ্ন করা হয়- ‘কয়েক দশক আগে, কাশ্মীরের জনগণকে একটি গণভোটের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিলো, যা কখনো বাস্তবায়ন হয়নি। এমনকি তাদের কাছে কখনো বিষয়টি নিয়ে জানতেও চাওয়া হয়নি, তারা আসলে কী চায়?’ জবাবে সেই পশুপালক বলেন, ‘এখন প্রয়োজনে আমরা বন্দুক হাতে তুলে নিতে প্রস্তুত’
এ দিকে, চলমান কাশ্মীর ইস্যুতে সৃষ্ট উত্তেজনার মধ্যে এবার আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছেন ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে পাকিস্তানের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। গত ১৬ আগস্ট তিনি বলেছিলেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে ভবিষ্যতে ঠিক কী হবে তা কেবল পরিস্থিতির ওপর নির্ভরশীল। তবে খুব শিগগিরই ভারত তার ‘প্রথম হামলা না চালানোর’ নীতি থেকেও সরে আসতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মোট তিনটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়। যার মধ্যে দুটি হয়েছে কেবল এই কাশ্মীর ইস্যুতে।
এর আগে গত ৫ আগস্ট (সোমবার) ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করেছিল ক্ষমতাসীন মোদী সরকার। যার প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে বিতর্কিত লাদাখ ও জম্মু ও কাশ্মীর সৃষ্টির প্রস্তাবেও সমর্থন জানানো হয়।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D