হত্যার প্রতিবাদকারী বঙ্গবীরকেই বঙ্গবন্ধু ভবনে প্রবেশে বাঁধা

প্রকাশিত: ১:১২ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১৬, ২০১৯

হত্যার প্রতিবাদকারী বঙ্গবীরকেই বঙ্গবন্ধু ভবনে প্রবেশে বাঁধা

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহদাতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে যান কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। তবে গেটে বাধার শিকার হয়ে ফিরতে হয়েছে জাতির পিতার হত্যার এই প্রতিবাদকারীকে বলে অভিযোগ করেছেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকী।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিকাল ৪টার দিকে বঙ্গবন্ধু ভবনে প্রবেশ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তার গতিরোধ করেন এবং প্রায় আধা ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রেখে বলেন, ‘মেইল আর নট অ্যালড, অনলি ফ্যামিলি মেম্বারস আর অ্যালড (পুরুষদের ঢোকার অনুমতি নেই, শুধু বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যরাই ঢুকতে পারবে)। এরপর বঙ্গবীর সেখান থেকে ফিরে আসেন।‘

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বীরপ্রতীক বলেন, বঙ্গবন্ধুর শাহাদতবার্ষিকীর দিনে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে প্রবেশ করতে বাধা দেয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু হত্যার একমাত্র প্রতিবাদকারী বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তমকে।

তিনি বলেন, ‘ধানমন্ডির বাড়ি শুধু আমাদের নয়, ওই বাড়ি আপনারও- বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা বঙ্গবীরকে এ কথা বলার পর থেকে বেশ কয়েক বছর ধরেই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ১৫ আগস্ট বিকালে বঙ্গবন্ধু ভবনে যান এবং সেখানে আসরের নামাজ আদায় করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার স্থানের কাছে কিছুক্ষণ অবস্থান করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত বছরও বঙ্গবন্ধু ভবনে প্রবেশ করতে গেলে প্রথমে বঙ্গবীরকে ফিরিয়ে দেয়া হয়, কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে তাকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়।’

হাবিবুর রহমান বলেন, একদিকে সরকার মুজিববর্ষ ঘোষণার মাধ্যমে দলমত-নির্বিশেষে বঙ্গবন্ধুকে যথাযথ মর্যাদা দেয়ার আহ্বান জানায়, অন্যদিকে তার হত্যার একমাত্র সশস্ত্র প্রতিবাদ করে ১৬ বছর যিনি নির্বাসনে থাকেন, সেই বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর মতো মানুষকে বঙ্গবন্ধু ভবনে প্রবেশে বাধা দেয়।

তিনি বলেন, সরকারের এহেন আচরণে প্রতীয়মান হয় যে, সরকারেরই একটা অংশ বঙ্গবন্ধুকে সরকারি বা দলীয় সম্পদ হিসেবে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে চায়, যা কোনো দেশপ্রেমিক মানুষের কাম্য নয়।