২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:০২ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৯, ২০১৯
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে ঘিরে ফের একবার ঢাকায় বাজলো ছুটির ঘণ্টা। আর এতেই রাজধানী ছেড়ে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিকাল থেকেই মানুষ গ্রামের বাড়ির পথে রওনা দিতে শুরু করেছেন। এজন্য আজ দুপুরের পর থেকেই বিভিন্ন পরিবহনে বাড়তি ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ঈদের ছুটিতে সড়কপথে বাড়ি ফেরা মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্নে করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। গত ঈদুল ফিতরের আগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্বিতীয় মেঘনা-গোমতি সেতু চালুর ফলে যানজটের বিড়ম্বনা থেকে মানুষ রেহাই পেয়েছে। দীর্ঘ যানজটে আটকে থাকার ঝুঁকি না থাকায় ওই অঞ্চলের মানুষদের এবারও ঈদ যাত্রায় সড়ক পথকেই বেছে নিতে দেখা গেছে।
এছাড়া রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ মহাসড়কের অবস্থা ভালো হওয়ায় এবারের ঈদ যাত্রায় দীর্ঘ যানজটের আশংকা কম বলেও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
এবার ঈদুল আজহায় প্রায় ৯ দিনের ছুটি। তবে এর মাঝে আগামী ১৪ আগস্ট বুধবার অফিস-আদালত খোলা। ঈদযাত্রা লম্বা করার জন্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অনেকেই ওইদিন ছুটি নিয়েছেন। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি।
মাঝখানে বুধবার অফিস-আদালত খোলা থাকলেও পরদিন বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি। পরের দুই দিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। অর্থাৎ বুধবার একদিনের ছুটি নিলে ৯ দিনের ছুটি পাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই বাস-ট্রেন-লঞ্চে ঘরমুখো মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। অফিস শেষে অনেকেই বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। দীর্ঘযাত্রায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আগেভাগেই বাড়ি রওনা হচ্ছেন তারা।
আজ সকালেও ঢাকার রেল, বাস ও লঞ্চ টার্মিনালে ঘরমুখো মানুষের ভিড় দেখা গেছে। বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি হয়েছে। ভোগান্তি এড়াতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে এখনই অনেকে গ্রামের পথে রওনা দিয়েছেন। পরিবারের মধ্যে যাদের কাজ রয়েছে তারাই শুধু শহরে থাকছেন, অন্যরা আগেই চলে যাচ্ছেন, এমন পরিবারও কম নয়।
আগামী ১২ আগস্ট সোমবার ঈদের আগে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় অনেকে আজ বৃহস্পতিবার অফিসে হাজিরা দিয়েই ঢাকা ছাড়ছেন।
মিরপুর থেকে সদরঘাটগামী সাইদুল আজিম দৈনিক অধিকারকে বলেন, ঈদ পালন করতে বাড়ি যাইতাসি। পরিবাররে নিয়া বাবা-মা এর সাথে বাড়িতে ঈদ করমু। কিন্তু রাস্তায় গাড়ি পাওয়াই যাইতাসে না। বাস পাইলেও প্রচুর ভিড়। সময় মতো লঞ্চ ধরতে না পারলে বিপদ। যত কষ্টই হোক বাড়ি তো যাইতেই হইব।
ধানমন্ডি থেকে কমলাপুরগামী রিয়াজ আহম্মেদ বলেন, রাস্তায় প্রচুর জ্যাম। তারমধ্যে গাড়ি ঠিক মতো পাওয়া যায় না। ট্রেন ধরতে হবে। আজকেই অফিস ছুটি পাইসি। এখন বাড়ির উদ্দেশে রওনা হইসি।
এদিকে শুক্রবার সকাল থেকে সড়কপথ, রেলপথ ও নৌপথে ঘরমুখো মানুষের ভিড় আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন এবং সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে আজ থেকেই যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। এই চাপ কাল আরও বাড়বে বলে মনে করছেন তারা।
গতকাল বুধবার থেকে ট্রেনে ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে। ঝামেলা এড়িয়ে নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে ট্রেনের আগাম টিকিট কেটে বুধবারও অনেকে পরিবার নিয়ে রাজধানী ছেড়েছেন। গতকাল যারা ট্রেনে চড়েছেন তারা টিকেট কেটেছেন ২৯ জুলাই।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D